আসল সময়ে জ্বলে উঠলো মালদ্বীপ
মালদ্বীপ ৩ গোলে নেপালকে হারাবে-ম্যাচের আগে এমন বাজি ধরার লোক একটিও খুঁজে পাওয়া যেত কিনা সন্দেহ। দক্ষিণ এশিয়ার এই টুর্নামেন্টে এবারই মালদ্বীপকে মনে হয়েছিল একটি ছন্নছাড়া দল। কোচ নিয়ে ফেডারেশনের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। জার্মানির কোচ দলে নেননি মালদ্বীপের সর্বকালের সেরা ফুটবলার আলী আশফাককে। সেমিফাইনালের আগে কোচ বিদায়ের খবরও ফলাও করে ছাপা হয়েছে দেশটির গণমাধ্যমে। সেই মালদ্বীপ আসল সময়ে জ্বলে উঠেছে, উঠে গেছে ফাইনালে।
ম্যাচের পর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের প্রেসবক্সে বসা মালদ্বীপের সাংবাদিকরা ছিলেন চুপচাপ। দেশের এমন বিজয় যেন তাদের ছুঁয়ে যায়নি। মাঠে ছিল উল্টো চিত্র। কোচ পিটার সেগার্ট ম্যাচের পরপরই চলে এলেন গ্যালারির সামনে, যেখানে পতাকা হাতে মালদ্বীপের কিছু সমর্থক সারাক্ষণ দলকে সমর্থন দিয়েছেন। তিনি মাথার উপর দুই হাত উঁচিয়ে তাদের ধন্যবাদ জানান।
ঢাকায় এসে কিছু বাংলা শব্দ রপ্ত করেছেন এ কোচ। এর মধ্যে বেশি ব্যবহার করেন ‘ধন্যবাদ’ শব্দটি। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে যাওয়ার সময় পশ্চিম গ্যালারির দর্শকদের উদ্দেশ্য করে বারবার ধন্যবাদ বলছিলেন মালদ্বীপের কোচ।
গ্রুপপর্বে কোন ম্যাচ জিততে পারেনি মালদ্বীপ। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের কাছে হেরেছে ২-০ গোলে। লঙ্কানদের সঙ্গে পয়েন্ট আর গোল সমান হওয়ায় টসভাগ্যে শেষ চারে উঠে দ্বীপ দেশটি। সেই মালদ্বীপই সবার আগে ফাইনালে। গ্রুপ পর্বে দুই ম্যাচে গোলের মুখ না দেখা দলটি সেমিফাইনালে করলো ৩ গোল।
মালদ্বীপের খেলোয়াড়রা ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামকে লাকি ভেন্যু বলতেই পারেন। এ নিয়ে সাউথ এশিয়ান এই টুর্নামেন্টে পঞ্চমবারের মতো ফাইনালে মালদ্বীপ, যার মধ্যে ৩ বারই ঢাকায়। ২০০৩ সালে ফাইনালে তারা হেরেছে বাংলাদেশের কাছে, ২০০৯ সালে হেরেছে ভারতের কাছে। এবার ফাইনালে কে প্রতিপক্ষ, তা এখনো অজানা। ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল চলছে। দেখা যাক, মালদ্বীপের প্রতিপক্ষ কে হয়, ভারত নাকি পাকিস্তান?
আরআই/এমএমআর/জেআইএম