অবশেষে জয়ের দেখা পেলো ম্যানইউ
ব্রাইটন আর টটেনহ্যাম হটস্পারের কাছে পরপর দুই ম্যাচ হেরে চাকরিটাই যেন হারাতে বসেছিলেন ম্যানইউর পর্তুগিজ কোচ হোসে মরিনহো। দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে তার খারাপ সম্পর্ক। সে সঙ্গে একের পর এক সমালোচনার তীর- বিদ্ধ করছিল পর্তুগিজ এই কোচকে। বার্নলির বিপক্ষে ছিল তার অগ্নি পরীক্ষা। অবশেষে এই পরীক্ষায় কোনোমতে পাস করলেন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে রোমেলু লুকাকুর জোড়া গোলে ০-২ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
ম্যাচটা ছিল বার্নলির মাঠে। এ কারণে একটা শঙ্কা কাজ করছিল ম্যানইউ সমর্থকদের মনে। আবার না হোঁচট খায় রেড ডেভিলরা? শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে ঘরে ফিরতে পারলেও সঙ্গে মরিনহোর জন্য যোগ হয়েছে একটি দুঃসংবাদও। দ্বিতীয়ার্ধে পরিবর্তিত হিসেবে মাঠে নামা মার্কাস রাশফোর্ড ফিল বার্ডসলিকে মাথায় আঘাত করার কারণে লাল কার্ড দেখে মাঠ থেকে বহিস্কার হন।
বার্নলির মাঠে গিয়েও ম্যানইউর প্রেসিডেন্ট এড উডওয়ার্ড তুমুল বিক্ষোভের সম্মুখিন হন। সেখানে ব্যানারই প্রদর্শন করা হয়। লেখা হয়, ‘উডওয়ার্ড স্বীকার করুক, সে ব্যর্থতার স্পেশালিস্ট।’ ব্রাইটন আর টটেনহ্যামের কাছে হারের ফলে উডওয়ার্ড এবং মরিনহোর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। বার্নলির বিপক্ষে এই জয়েও যে তাদের নিরাপত্তা শিথিল করতে হবে- এমনটা নয়। বরং, ক্লাব পরিচালকদের কাছেই তুমুল প্রশ্নবিদ্ধ উডওয়ার্ড প্রশাসন। যে কারণে ম্যানইউর ম্যানেজমেন্টে পরিবর্তন এলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
২৭ মিনিটে গোলের সূচনা করেন রোমেলু লুকাকু। তিনি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সাধারণ একটি হেডই নিয়েছিলেন শুধু। মোক্ষম জায়গায় ক্রসটা ফেলেছিলেন আলেক্সিস সানচেজ। বেলজিয়ামের বিশালবপুর অধিকারী লুকাকু ডিফেন্ডার বেন মি’কে ঠেলে দিয়ে জায়গা তৈরি করে নেন।
বার্নলির সামনে রোববার ম্যানইউর ডিফেন্স ছিল খুবই শক্তিশালী। কারণ বার্নলি খেলেছিল একমাত্র স্ট্রাইকার ক্রিস উডকে নিয়ে। যিনি কোনো আতঙ্কই ছড়াতে পারেননি ম্যানইউ পোস্টের সামনে। বরং, প্রথমার্ধেই গোলের ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলেন লুকাকু। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ১ মিনিট আগে গোলটি করেন লুকাকু। এবারও তিনি ভাগ্যবান। হেসে লিংগার্ডের শট বার্নলি ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ফিরে এলে সেটা থেকে গোল করেন বেলজিয়াম এই স্ট্রাইকার।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যানইউ তৃতীয় গোলের দারুণ সুযোগ পেয়েছিল। বার্নলির ডিফেন্ডার অ্যারোন লেনন বক্সের মধ্যে মার্কাস রাশফোর্ডকে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় ম্যানইউ। স্পট কিক নিতে আসেন পল পগবা। কিন্তু ম্যানসিটি থেকে বার্নলিতে আসা গোলরক্ষক জো হার্ট অসাধারণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন পগবার শট।
পেনাল্টি থেকে গোল না হওয়ায় মেজজা খিঁচড়ে যায় রাশফোর্ডের। যে কারণে, একটু পরই বার্নলির বার্ডসলির সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। যে কারণে লাল কার্ড এবং ৭১ মিনিটেই ১০ জনের দলে পরিণত হয় ম্যানইউ। এরপরও গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন লুকাকুরা। কিন্তু ব্যবধান আর বাড়াতে পারেননি তারা।
আইএইচএস/জেআইএম