সাফের সাংগঠনিক কমিটিই যেখানে অসংগঠিত!
নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট পর শুরু হলো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ উপলক্ষে গঠিত স্থানীয় সাংগঠনিক কমিটির সংবাদ সম্মেলন। তাতেও কমিটির যে সদস্যদের সংবাদ সম্মেলনে আসার কথা ছিল তাদের সবাই আসলেন না।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের মিডিয়া শাখার লোকজন সংবাদ সম্মেলন শুরুর আগে কিছুক্ষণ পরপর এসে টেবিলের কর্মকর্তাদের নেমপ্লেট বারবার বদলালেন। কারণ, তারাও জানতে না কে আসবেন কে আসবেন না।
এক সময় সরিয়েই ফেলতে হলো বাফুফের তিন সহ সভাপতি বাদল রায়, কাজী নাবিল আহমেদ, মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, সদস্য হারুনুর রশিদ ও আবদুর রহিমের নেমপ্লেট। যারা সাংগঠনিক কমিটির সদস্য। শেষ পর্যন্ত কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফের সিনিয়র সহ সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী দুই সদস্য শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর ও ইলিয়াছ হোসেনকে নিয়ে উপস্থিত হন নির্ধারিত সময়ের আধাঘণ্টা পর।
৪ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু হবে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল টুর্নামেন্ট সাফ সুজুকি কাপ। টুর্নামেন্ট আয়োজনে বাফুফে কতটা প্রস্তুত তা জানাতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন।
কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম মুর্শেদীকে বেশি প্রশ্নের উত্তর দিতে হলো বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের বেহাল গ্যালারি আর সাধারণ দর্শকের জন্য টিকিট কম বরাদ্দ রাখা নিয়ে।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণ ক্ষমতা এখন ২৫ হাজার। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার টিকিটই বাফুফে সৌজন্য দিচ্ছে তাদের অধিভুক্ত ক্লাব ও সংস্থাকে।
সাধারণ দর্শকের জন্য বরাদ্দ মাত্র সাড়ে সাত হাজারের মতো। তাহলে সাধারণ দর্শকরা কিভাবে খেলা দেখবেন?
আবদুস সালাম মুর্শেদীর জবাব, ‘ঢাকার বাইরে যাদের টিকিট পাঠানো হচ্ছে তারাতো সবাই আসবেন না। তাই আমরা বাড়তি টিকিটের ব্যবস্থা রেখেছি যাতে সাধারণ দর্শকরা খেলা দেখতে পারেন।’
বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতির কথায় মনে হলো সাধারণ দর্শকরা স্টেডিয়ামে এসে অপেক্ষা করবেন ঢাকার বাইরের সৌজন্য টিকিট পাওয়ারা আসবেন কী আসবেন না সে জন্য।
আর ভাঙাচোরা চেয়ার প্রসঙ্গে বাফুফে সিনিয়র সহসভাপতি বলেন,‘আমি সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়ে প্রথমই স্টেডিয়ামের চেয়ারের বিষয়টি দেখবো।’
উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদের খুলনা-৪ (রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া) আসনের উপনির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সাবেক এ ফুটবলার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
তৃতীয়বারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজক হচ্ছে ঢাকা। টুর্নামেন্ট শুরু হতে মাত্র ৪ দিন বাকি। কিন্তু এখনো বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সাফের গন্ধ নেই। নেই কোনো প্রচার-প্রচারণা। আয়োজকদের শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনই যেন বলে দিলে কতটা অসংগঠিত সাফের সাংগঠনিক কমিটি।
আরআই/এএইচ/এসআর