বর্তমান দলকে অনুপ্রাণিত করলেন সাফজয়ী ফুটবলাররা
দুই প্রজন্মের সেতুবন্ধন। ২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাজয়ী আর ২০১৮ সালের সাফে অংশ নিতে যাওয়া দল দুটিকে এক মঞ্চে দাঁড় করিয়ে সে সেতুবন্ধন তৈরি করেছিল বাংলাদেশ ক্রীড়ালেখক সমিতি। দেশের ক্রীড়া সংবাদিকদের ঐতিহ্যবাহী সংগঠনটির ব্যানারে ১৫ বছর আগে সাফজয়ী ফুটবলাররা অনুপ্রাণিত করলেন বর্তমান দলকে।
তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করতে যাচ্ছে। যা শুরু হবে ৪ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। টুর্নামেন্ট শুরুর ঠিক চারদিন আগে শুক্রবার বিকেলে পল্টনের একটি হোটেলে বাংলাদেশ ক্রীড়ালেখক সমিতি সংবর্ধনা দিয়েছে ২০০৩ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলটিকে। একই অনুষ্ঠানে অনুপ্রেরণা দেয়া হয় এবারের দলটিকে।
বাংলাদেশ ক্রীড়ালেখক সমিতির সভাপতি মোস্তফা মামুনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ২০০৩ সালের শিরোপাজয়ী দলের অধিনায়ক রজনী কান্ত বর্মন, আমিনুল হক, বিপ্লব ভট্টাচার্য্য, আরিফ খান জয়, আরমান মিয়া, মাহমুদুল হাসান, সাইফুর রহমান সাইফ, সাইফুর রহমান মনি, রোকনুজ্জামান কাঞ্চন, মোস্তফা আনোয়ার পারভেজ, আলফাজ আহমেদ, ফিরোজ মাহমুদ টিটু, কাজী নজরুল ইসলাম, আবদুল কাইয়ুম সেন্টু ও মেহেদী হাসান উজ্জ্বল, দলনেতা শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর, গোলরক্ষক কোচ মোশারফ হোসেন বাদল, ম্যানেজার ছাঈদ হাছান কানন।
পুরোনো ও নতুন দলের সদস্যদের ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। সাবেক ফুটবলার আবদুস সালাম মুর্শেদী, ইমতিয়াজ সুলতান জনি, ছাইদ হাসান কানন, আরিফ খান জয়, আবু ইউসুফ, আরমান মিয়া, রজনী কান্ত বর্মন ও আমিনুল হক তাদের বক্তব্যে দেশের সম্মান বয়ে আনতে নিজেদের সেরা খেলতে বর্তমান খেলোয়াড়দের আহবান জানিয়েছেন। বর্তমান দলের ইংলিশ কোচ জেমি ডে এবং দুই সিনিয়র খেলোয়াড় মামুনুল ইসলাম ও জামাল ভুইয়া বক্তব্য রাখেন।
২০০৩ সালে চ্যাম্পিয়ন দলের খেলোয়াড়দের অটোগ্রাফযুক্ত বল বর্তমান দলকে উপহার দেয়া হয়। সাফজয়ী দলের অধিনায়ক রজনী কান্ত বর্মন, মিডফিল্ডার আরিফ খান জয় বল তুলে দেন বতর্মান দলের ৩ খেলোয়াড় ওয়ালি ফয়সাল, মামুনুল ইসলাম ও জামাল ভুইয়ার হাতে।
আরআই/এমএমআর/পিআর