উত্তর কোরিয়ার কাছে হেরে বাংলাদেশের বিদায়
ধারে-ভারে আর ঐতিহ্যে বাংলাদেশের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে উত্তর কোরিয়া। দুইবার বিশ্বকাপে অংশ নেয়া এবং দুইবার এশিয়ান গেমসের ফাইনাল খেলা দলটিই ফেভারিট ছিল বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।
বাংলাদেশের সম্বল বলতে ছিল কাতারকে হারানোর তরতাজা সুখস্মৃতি আর লড়াইয়ের প্রতিজ্ঞা। কিন্তু মাঠে নিজেদের শক্তিমত্তা দেখিয়েই বাংলাদেশকে সহজে ৩-১ গোলে হারিয়ে এশিয়ান গেমস ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে আগের আসরের রৌপ্য জয়ী উত্তর কোরিয়া।
কাতারকে হারিয়ে গেমস ফুটবলের শেষ ষোলোতে বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস গড়া হয়েছে সেদিন। উত্তর কোরিয়াকে হারিয়ে কোয়ার্টারের টিকিট পেলে আরও উচ্চতায় উঠতো বাংলাদেশের ফুটবল। কিন্তু বাংলাদেশকে থামতে হলো শেষ ষোলোতেই। থামিয়ে দিলো এশিয়ার ফুটবলের অন্যতম পরাশাক্তি উত্তর কোরিয়া।
শুরু থেকেই উত্তর কোরিয়া চেপে ধরেছিল বাংলাদেশকে। মাঝ মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এবং দুই উইং ব্যবহার করে আক্রমণ তৈরি করে কোরিয়ানরা। ফলে ১৩ মিনিটেই ফল পেয়ে যায় কোরিয়া। একটি ক্রস ঠেকাতে গিয়ে বক্সে বল হাতে লাগে সুশান্ত ত্রিপুরার। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। কিম সং গোল করে এগিয়ে দেন উত্তর কোরিয়াকে।
৩ মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো কোরিয়ানদের যদি কিম ইয়ংয়ের শট ফিরে না আসতো ক্রসবারে লেগে। ৩২ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে তপু বর্মনের হেড ক্রসবারে বাতাস দিয়ে বাইরে গেলে সমতায় ফেরার সুযোগ নষ্ট হয় বাংলাদেশের। ওই আপসোস কাটতে না কাটতেই ৩৮ মিনিটে হ্যান ইয়ং থায়ে গোল করে ব্যবধান ২-০ করেন।
কখনো ছোট ছোট, কখনো লম্বা পাসে বাংলাদেশের রক্ষণভগে বল ফেলতে থাকে উত্তর কোরিয়া। আক্রমণের ধারা বজায় রেখে ৬৯ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করে তারা। ক্যাং কুক চুল উত্তর কেরিয়ার তৃতীয় গোলদাতা। বাংলাদেশ তৃতীয় গোলটি খেয়েছে ডিফেন্ডার টুটুল হোসেন বাদশার ব্যর্থতায়। তাকে কাটিয়েই গোলমুখে বল ফেলেছিলেন কোরিয়ার সো জং। সে বলে গোল করতে কোনো সমস্যা হয়নি ক্যাং কুক চুলের।
ধরেই নেয়া হয়েছিল ৩-০ গোলের হার নিয়েই এশিয়ান গেমস ফুটবল থেকে বিদায় নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু ইনজুরি সময়ে সা’দ উদ্দিনের দেয়া গোলে বাংলাদেশ হারের ব্যবধান কমিয়ে ৩-১ করে। এর মধ্যে দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশের ফুটবলের স্মরণীয় এক এশিয়ান গেমস।
বাংলাদেশ দল
আশরাফুল ইসলাম রানা, বিশ্বনাথ ঘোষ, জামাল ভুঁইয়া, মাহবুবুর রহমান সুফিল, তপু বর্মন, মাসুক মিয়া জনি (আবদুল্লাহ), সুশান্ত ত্রিপুরা, টুটুল হোসেন বাদশা, সা’দ উদ্দিন, বিপুল আহমেদ ও আতিকুর রহমান ফাহাদ।
আরআই/এএইচ/পিআর