রোনালদো নেই মাঠে, দর্শক নেই রিয়ালের গ্যালারিতে
দীর্ঘ নয় মৌসুম স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের সাফল্য-ব্যর্থতার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর গ্যালারি বারবার প্রকম্পিত হয়েছে রোনালদোর হর্ষধ্বনিতে। লস ব্লাঙ্কোসের অপর নামই হয়ে গেছিলেন রোনালদো।
কিন্তু হুট করেই চলতি মৌসুমের শুরুতে রিয়াল ছেড়ে যান রোনালদো। নাম লেখান ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসে। তুরিনের বুড়িরাও বরণ করে নেয় বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা এই ফুটবলারকে। এর ঠিক বিপরীত চিত্র স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে। রাজধানী শহরের প্রধান ক্লাবের দর্শকদের মধ্যে নেমে এসেছে মন খারাপের ছায়া।
দীর্ঘ প্রায় এক দশক যার নাম ধরে গলা ফাটিয়েছেন সমর্থকেরা, সেই রোনালদোই নেই এখন বার্নাব্যুর মাঠে। ফলে দর্শকরাও আর আগ্রহ পাননি মাঠে গিয়ে খেলা দেখতে। স্প্যানিশ লা লিগার নতুন মৌসুমে রিয়ালের প্রথম ম্যাচটিতেই দেখা গিয়েছে এমন চিত্র। গেতাফের বিপক্ষে হোম ম্যাচেই গ্যালারির প্রায় অর্ধেকের বেশি জায়গাই ছিল ফাঁকা।
প্রায় এক লক্ষ ধারণক্ষমতার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়ালের প্রথম ম্যাচে দর্শক উপস্থিতি ছিল মাত্র ৪৮ হাজার ৪৬৬ জন। মৌসুমে রিয়ালের প্রথম ম্যাচ হওয়াতে সবারই প্রত্যাশা ছিল উপচে পড়া ভীড় থাকবে গ্যালারিতে। কিন্তু এমন দর্শকভাটা হতাশ করেছে সবাইকেই। অনেকেরই মত ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো না থাকাতেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন দর্শকরা।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এত কম দর্শক উপস্থিতি সবশেষ দেখা গিয়েছিল ২০০৮-০৯ মৌসুমের লা লিগায় রিয়ালের শেষ ম্যাচে। সেবার চির প্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার বিপক্ষে ৬-২ গোলে হারের মধ্য দিয়ে শুরু হয় রিয়ালের হারের ধারা। একটানা হেরে যায় পাঁচটি ম্যাচ। ফলে লিগের শেষ ম্যাচে ফাঁকা গ্যালারিতেই খেলে রিয়াল।
এই হারের ধাক্কা সামাল দিতেই পরবর্তী মৌসুমে বিশ্বরেকর্ড গড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে উড়িয়ে আনে রিয়াল। একইসাথে যেন সৌভাগ্যের চাবিটাও কিনে নেয় তারা। টানা নয় মৌসুম রিয়াল ট্রফি কেবিনেটে অসংখ্য ট্রফি যোগ করেন রোনালদো।
গত মৌসুমেই টানা তৃতীয়বারের মতো রিয়ালকে ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতান রোনালদো। মৌসুম শেষ করেই ছেড়ে দেন ক্লাব। একইসাথে যেন নিয়ে যান সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর দর্শকদেরকেও! রিয়াল ক্লাব প্রতিপক্ষে যার প্রতিফলন দেখেছে নিজেদের প্রথম হোম ম্যাচেই।
এসএএস/জেআইএম