তিন বছর পর মুখোমুখি বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ফুটবল ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে থাইল্যান্ডের নাম। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচটি ছিল এ দেশটির বিরুদ্ধে। ১৯৭৩ সালের ২৭ জুলাই মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে মারদেকা কাপের ওই গ্রুপ ম্যাচটি ড্র হয়েছিল ২-২ গোলে।
৪৫ বছর আগে আন্তর্জাতিক ফুটবলে পা রাখা বাংলাদেশ পরে আরো ১৩বার মুখোমুখি হয়েছে থাইল্যান্ডের। ৩টি জয় আছে, আছে দুটি ড্রও। থাইল্যান্ড আসলে বাংলাদেশের জন্য অজয়ে কোনো দল নয়; কিন্তু দেশটির সঙ্গে আন্তর্জাতিক ম্যাচ সেভাবে খেলা হয় না বাংলাদেশের। ২০১৫ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের পর ৩ বছরের ব্যবধানে আবার মুখোমুখি হচ্ছে দুই দেশ।
বঙ্গবন্ধু কাপের আগের সব লড়াই হয়েছিল দুই দেশের জাতীয় দলের। তিন বছর আগের লড়াইটা ছিল বাংলাদেশ জাতীয় দলের সঙ্গে থাইল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২৩ দলের। নাসির উদ্দিন চৌধুরীর গোলে বাংলাদেশ জিতেছিল ১-০ ব্যবধানে। এবার মুখোমুখি দুই দেশের অনূর্ধ্ব-২৩ দল। জাকার্তায় এশিয়ান গেমস ফুটবলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলবে বাংলাদেশ।
এশিয়ান গেমস ফুটবলে এটাই হবে দুই দেশের প্রথম দেখা। তবে বৃহস্পতিবার বিকেলের এ লড়াইয়ে নামার আগে বাংলাদেশের চেয়ে মানসিকভাবে একটু হলেও এগিয়ে থাকবে থাই যুবারা। মঙ্গলবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৩-০ গোলে হেরেছে উজবেকিস্তানের কাছে। আর থাইল্যান্ড কাতারকে ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে শেষ মুহূর্তের গোলে।
প্রথম ম্যাচ হারায় এশিয়ান গেমসের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় অনেকটা নিশ্চিত বাংলাদেশের। কিন্তু থাইল্যান্ড স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে কাতারের কাছ থেকে ১ পয়েন্ট ছিনিয়ে নিয়ে। বাকি দুই ম্যাচ তারা জিতলে উঠে যাবে পরের রাউন্ডে। বাংলাদেশ সে সম্ভাবনায় বেশ পিছিয়ে থাইল্যান্ডের চেয়ে।
ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে থাইল্যান্ড। বাংলাদেশ ১৯৪, থাইল্যান্ড ১২২। দুই দেশের ফুটবলের এ যখন পার্থক্য তখন তাদের যুব দলের একটা তফাৎ থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে বয়সভিত্তিক ফুটবলে সাম্প্রতিক ভালো করে আসায় একটু সম্ভাবনাতো থাকছেই লাল-সবুজ জার্সিধারীদের।
দুই দেশের জাতীয় দল সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল ২০১২ সালে ব্যাংককে ফিফা ফ্রেন্ডলিতে। ওই ম্যাচে বাংলাদেশের জালে ৫ গোল দিয়েছিল থাইল্যান্ড। ফুটবলে অতীত পরিসংখ্যান গুরুত্বপূর্ণ নয়। নির্দিষ্ট ম্যাচ ও দিনের পারফরম্যান্সই নির্ধারণ করে দেয় ভাগ্য। যে কারণে, এশিয়ান গেমসে দুই দেশের অনূর্ধ্ব-২৩ দলের প্রথম সাক্ষাত নিয়েও ভবিষ্যতবাণীর সুযোগ নেই। তারপরও ইন্দোনেশিয়ায় দুই দেশের প্রথম ম্যাচের ফলাফল সম্ভাবনায় এগিয়ে রাখবে থাইল্যান্ডকে।
এক নজরে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ম্যাচগুলোর ফলাফল
তারিখ |
টুর্নামেন্ট |
ফলাফল |
২৭ জুলাই ১৯৭৩ |
মারদেকা কাপ |
২-২ গোলে ড্র |
১২ আগস্ট ১৯৭৩ |
মারদেকা কাপ |
২-০ গোলে থাইল্যান্ড জয়ী |
০২ আগস্ট ১৯৭৫ |
মারদেকা কাপ |
১-১ গোলে ড্র |
২০ ডিসেম্বর ১৯৭৬ |
কিংস কাপ |
৬-০ গোলে থাইল্যান্ড জয়ী |
১৬ আগস্ট ১৯৮৪ |
ফিফা ফ্রেন্ডলি |
২-১ গোলে থাইল্যান্ড জয়ী |
২৩ মার্চ ১৯৮৫ |
বিশ্বকাপ বাছাই |
৩-০ গোলে থাইল্যান্ড জয়ী |
০৫ এপ্রিল ১৯৮৫ |
বিশ্বকাপ বাছাই |
১-০ গোলে বাংলাদেশ জয়ী |
১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮ |
এশিয়ান কাপ |
১-১ গোলে ড্র |
১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯ |
বিশ্বকাপ বাছাই |
১-০ গোলে থাইল্যান্ড জয়ী |
০৮ মার্চ ১৯৮৯ |
বিশ্বকাপ বাছাই |
৩-১ গোলে বাংলাদেশ জয়ী |
১৮ এপ্রিল ১৯৯৩ |
বিশ্বকাপ বাছাই |
৪-১ গোলে থাইল্যান্ড জয়ী |
০৫ মে ১৯৯৩ |
বিশ্বকাপ বাছাই |
৪-১ গোলে থাইল্যান্ড জয়ী |
১৭ নভেম্বর ২০১২ |
ফিফা ফ্রেন্ডলি |
৫-০ গোলে থাইল্যান্ড জয়ী |
৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ |
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ |
১-০ গোলে বাংলাদেশ জয়ী |
আরআই/আইএইচএস/জেআইএম