খরচ কমাতে দু’দিনে সামার অ্যাথলেটিকস
৬৪ জেলা, ৮ বিভাগ এবং শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সার্ভিসেস প্রতিষ্ঠান মিলে ৫ শ’র মতো অ্যাথলেট অংশ নেবেন ১৪ তম জাতীয় সামার অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায়। মোট ইভেন্ট ৩৬ টি। শুক্রবার শুরু হতে যাওয়া এ প্রতিযোগিতা মাত্র ২ দিনেই শেষ করবে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। এর কারণ যে খরচ কমানো, তা অকপটেই স্বীকার করেছেন বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টু।
প্রতিযোগিতা উপলক্ষ্যে বুধবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘একদিন বেশি প্রতিযোগিতা হলে অনেক খরচ বেড়ে যায়। তাই সূচি একটু কঠিন হলেও আমরা ২ দিনে শেষ করছি। তবে ফ্লাডলাইট থাকায় তেমন সমস্যা হবে না দুই দিনে।’
বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের বর্তমান অ্যাডহক কমিটি দায়িত্ব নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে তৈরি হওয়া দূরত্ব দূর করেছে। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের অ্যাথলেটিকস উন্নয়নে সহায়তার আশ্বাসও দিচ্ছে। বিদেশে অ্যাথলেট পাঠিয়ে অনুশীলন করানোর মতো কয়েকটি কর্মসূচি শেষও করেছে ফেডারেশন। সামনে আছে আরো কর্মসূচি।
তাইওয়ান বাংলাদেশকে ৩ জন কোচ দিয়ে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে বিদেশি কোচের বিষয়টি সরকারের অনুমতি ছাড়া 'হ্যাঁ-না' বলতে পারছে না ফেডারেশন। তাই তো ইতিমধ্যে ফেডারেশনের কর্মকর্তারা যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে গিয়ে এ বিষয় নিয়ে কথাও বলেছেন। ‘মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে তাইওয়ান আমাদের কিভাবে সহায়তা করবে, তার সমঝোতা চুক্তি কেমন হবে, তার একটা খসড়া আনতে। তাইওয়ান সমঝোতা চুক্তির খসড়া পাঠালে তার পর সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের সামনে এগুতে হবে’-বলেছেন বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব।
নানা কর্মসূচির পাশাপাশি অর্থ সংকটের কথাও লেগে থাকে ফেডারেশনের কমকর্তাদের মুখে। এই যেমন, জাতীয় বা সামার অ্যাথলেটিক আয়োজনে ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভরশীল হতে হয় তাদের। অর্থ সংকট থাকলেও বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে ফেডারেশন। এই সামার অ্যাথলেটিক শেষ হওয়ার ৫ মাসের মধ্যেই হবে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ।
ডিসেম্বরে এই চ্যাম্পিয়নশিপের সময় ঢাকায় দক্ষিণ এশিয়ার অ্যাথলেটিকস কর্মকর্তারা সভাও করবেন। যে সভায় বিস্তারিত আলোচনা হবে বঙ্গবন্ধু সাফ অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো নিয়ে আগামী বছর অক্টোবরে ঢাকায় হবে বঙ্গবন্ধু সাফ অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে তারা টুর্নামেন্টের নাম অনুমোদনও করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে।
নানা সমস্যার মধ্যে সামার অ্যাথলেটিকসে ভালো খবর হলো, দৌঁড় ইভেন্টগুলো ইলেক্ট্রনিক্স টাইমিংয়েই হচ্ছে। ফিল্ড ইভেন্টগুলো জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ইলেক্ট্রনিক্স টাইমিংয়ের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ফেডারেশন কর্মকর্তারা।
পৃষ্ঠপোষক ঢাকা সিটি ফুটবল ক্লাব লিমিটেড প্রতিযোগিতায় যে খরচ হবে সেটা দেয়ার ঘোষণাই দিয়েছে। এর পাশপাশি যারা সামার অ্যাথলেটিকে রেকর্ড গড়বেন তাদেরও পুরস্কার দেবে পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানটি। ফেডারেশন কর্মকতারা কয়েকটি ইভেন্টে রেকর্ড হবে বলেও আশার কথা শুনিয়েছেন।
আরআই/এমএমআর/এমএস