ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

বিশ্বকাপের সমাপনী মাতানো এরা এস্ত্রাফি যখন রেড স্কয়ারে

রফিকুল ইসলাম | মস্কো, রাশিয়া থেকে | প্রকাশিত: ১২:২৯ পিএম, ১৭ জুলাই ২০১৮

রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রধান ভেন্যু মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়াম এক দিনের ব্যবধানেই বদলে গেছে। রোববার যে স্টেডিয়াম ঘিরে ছিল উৎসবের আমেজ, যে স্টেডিয়াম কেঁপে উঠেছিল প্রায় এক লাখ মানুষের উপস্থিতিতে, সেই স্টেডিয়াম পরের দিনই যেন ভাঙা হাট। ফ্রান্সের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হাসি আর ক্রোয়েশিয়ার স্বপ্নভঙ্গের বেদনার পর লুঝনিকি স্টেডিয়াম এখন সব হারিয়ে নিথর হয়ে দাঁড়িয়ে।

rafikফাইনালের পর দিন সোমবার শোনা গেলো, লুঝনিকি স্টেডিয়ামে চারিদিকে ঠুসঠাস শব্দ। অস্থায়ীভাবে নির্মিত সব স্থাপনা ভাঙা শুরু। দুদিন আগে যে স্টেডিয়ামে শত শত মানুষকে দেখা গেছে নতুন কিছু গড়তে, সোমবার সেখানেই ভাঙার পালা। বিরহের একটা সুরও যেন ভেসে আসলো কানে।

তবে শেষ হয়ে যাওয়া বিশ্বকাপের আমেজ কিছুটা হলেও ধরে রেখেছে মস্কোর রেড স্কয়ারসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ও শপিং মলগুলো। সোমবার বিকেলে রেড স্কয়ারে শতশত মানুষ যেন শেষবারের মতো জায়গাটি ঘুরে যাওয়ার জন্য এসেছে। ক্রেমলিনের পাশে যে ফুটবল পার্ক তৈরি করেছিল ফিফা, তা ভাঙার কাজ চলছে। তবে মানুষের ঢল কমেনি। বেশিরভাগই ছিল বিভিন্ন দেশ থেকে বিশ্বকাপ দেখতে আসা মানুষ।

রেড স্কয়ার এলাকায় যত শপিং মল আছে, সেখানে সোমবার ছিল উপচে পাড়া ভিড়। বিশেষ করে ফিফার অফিসিয়াল শপে। বিশ্বকাপের স্মারক স্মৃতি হিসেবে রাখতেই সেখানে মানুষের ছিল সকাল থেকে রাত অবধি ভিড়। মানুষ চাইলেই কিছু কিনতে দোকানে ঢুকতে পারেননি। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে তারপর ভেতরে ঢোকার সুযোগ মিলেছে সবার।

russia

রেড স্কয়ারের কয়েকটি পয়েন্টে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবকরা সোমবারই ঘরে ফিরে গেছে দায়িত্ব শেষ করে। যাওয়ার আগে তারা রেড স্কয়ারে আনন্দ উচ্ছ্বাস করেছে। ছবি তুলেছে, বিদায়টা রাঙিয়ে দেয়ার চেষ্টার ত্রুটি ছিল না কোনো।

সন্ধ্যার পর সরব রেড স্কয়ারে বাড়তি রং লাগিয়েছিলেন এরা এস্ত্রাফি। নামটি নিশ্চয়ই পরিচিত লাগছে। হ্যাঁ, আগের সন্ধ্যায় লুঝনিকি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের সমাপনী অনুষ্ঠান মাতানো আলবেনিয়ান এ গায়িকা ঘুরে গেলেন রেড স্কয়ার।

ফাইনালের সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ দেখেছেন তার পারফরম্যান্স। ২৪ বছর বয়সী এ সুপারহিট গায়িকা রেড স্কয়ারে আসার পর অন্য রকম এক পরিবেশ তৈরি হয় সেখানে। অটোগ্রাফ আর ছবি তোলার জন্য শতশত মানুষের পিছে পিছে ছোটা। কিন্তু নিরাপত্তা রক্ষীরা তার কাছে যেতে দিলে তো?

আরআই/এমএমআর/জেআইএম

আরও পড়ুন