ফ্রান্সের চেয়ে ‘এক ম্যাচ’ বেশি খেলে ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া!
লুকা মদ্রিচ-ইভান রাকিটিচদের হাত ধরে নিজেদের পঞ্চম বিশ্বকাপেই ফাইনালের টিকিট পেয়ে গেছে ক্রোয়েশিয়া। রোববার লুঝনিকি স্টেডিয়ামে শক্তিশালী ফ্রান্সের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম শিরোপার জন্য খেলতে নামবে তারা।
১৯৯৮ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে এসেই চমক দেখিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। সেবার বাঘা বাঘা দলগুলোকে পেছনে ফেলে তৃতীয় হয়েছিল ক্রোয়েটরা। তার ২০ বছর পর সেই সাফল্যকে পার করে এবার তাদের স্বপ্ন বিশ্বকাপ জয়।
ফাইনালে ওঠার পথে ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়া দুই দলই জিতেছে নিজেদের সবকয়টি ম্যাচ। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচ ও পরে নকআউট পর্বের তিন ম্যাচ জিতেই তবে ফাইনালে এসেছে দুই দল। তবু শিরোপা লড়াইয়ে নামার আগে ফ্রান্সের চেয়ে ‘এক ম্যাচ’ বেশি খেলে ফেলেছে ক্রোয়েশিয়া।
না ম্যাচের সংখ্যায় এটি ‘এক ম্যাচ’ নয়। মূলত ম্যাচের সময় গণনায় ফরাসীদের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি মাঠে ছিল ক্রোয়েটরা। গ্রুপ পর্বে নাইজেরিয়া, আর্জেন্টিনা ও আইসল্যান্ডকে হারানো ক্রোয়েশিয়া খুব সহজে পার করেনি নকআউট পর্ব।
নকআউট পর্বের তিন ম্যাচেই তাদের খেলতে হয়েছে অতিরিক্ত সময়। তিন ম্যাচেই তারা প্রথমে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়েছিল। তারপর নিজেরা গোলশোধ করে জিতেছে ম্যাচ। এই গোল হজম করা আর গোল শোধ করার ফাঁকতালে প্রতিটি ম্যাচেই ৩০ মিনিট করে বাড়তি খেলতে হয়েছে ‘দ্যা ব্লেজার্স’দের।
ফলে তিন ম্যাচে ৩০ মিনিট করে মোট ৯০ মিনিট তথা একটি পূর্ণ ম্যাচের সময় মাঠেই কাটিয়েছেন রাকিটিচ-মদ্রিচরা। অন্যদিকে নকআউট পর্বের কোন ম্যাচেই বাড়তি সময়ে যেতে হয়নি ফরাসীদের। দ্বিতীয় পর্বে আর্জেন্টিনা, কোয়ার্টারে উরুগুয়ে ও সবশেষ সেমিতে বেলজিয়ামকে তারা মূল ম্যাচের ৯০ মিনিটের মধ্যেই হারিয়ে দিয়েছে।
তাই ক্রোয়েশিয়ার মতো বাড়তি কোন সময় মাঠে কাটাতে হয়নি ফ্রান্সকে। ফলে ফাইনাল ম্যাচে বাড়তি ৯০ মিনিট মাঠে কাটানো ক্রোয়েশিয়ান ফুটবলারদের চেয়ে সতেজই থাকার কথা ফ্রান্সের ফুটবলারদের।
এসএএস/জেআইএম