ইতিহাসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ফ্রান্স কোচ দেশম
সেন্ট পিটার্সবার্গে প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচে বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স। নিজেদের ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে খেলার টিকিট পেল তারা। এর আগে ১৯৯৮ ও ২০০৬ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছিল তারা। ১২ বছর পর দিদিয়ের দেশমের কোচিংয়ে আবারো ফাইনালে পৌঁছল চলতি আসরে দুর্দান্ত খেলতে থাকা দলটি।
১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলার সুযোগ পেয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্রান্স। সেবার দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন বর্তমান দলের কোচের দায়িত্বে থাকা দেশম। ১৫ তারিখ লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচটি জিতলে বিশ্বের মাত্র দ্বিতীয় মানুষ হিসেবে কোচ ও অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপ জেতার গৌরব অর্জন করবেন দেশম। এছাড়া তৃতীয় মানুষ হিসেবে খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জিতবেন তিনি।
এর আগে কেবলমাত্র জার্মানির ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার ও ব্রাজিলের মারিও জাগালোই কেবল খেলোয়াড় ও কোচ; উভয় পদেই বিশ্বকাপ জেতার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। এর মধ্যে আবার বেকেনবাওয়ার খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ জেতার সময় ছিলেন নিজ দেশের অধিনায়কও। জাগালো দুইবার খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ জিতলেও একবারও তার হাতে ছিল না অধিনায়কের আর্মব্যান্ড।
খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জেতার প্রথম নজির স্থাপন করেছেন জাগালোই। ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালের বিশ্বকাপে ছিলেন ব্রাজিলিয়ান ফুটবল দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। পরে ১৯৭০ সালে পেলের শেষ বিশ্বকাপে তিনি ছিলেন নিজ দেশের কোচের দায়িত্বে।
জাগালোর এই কৃতিত্ব দেখানোর ৪ বছর পরই শুরু বেকেনবাওয়ারের। ১৯৭৪ সালের বিশ্বকাপে জার্মান দলকে দ্বিতীয় শিরোপা জেতানোর পথে অধিনায়ক ছিলেন তিনি। পরে ১৯৯০ সালে তৃতীয়বারের মতো নিজ দেশকে শিরোপা জেতানোর সময় তিনি ছিলেন ডাগআউটে কোচের দায়িত্ব নিয়ে।
বেকেনবাওয়ারের কোচ-অধিনায়ক চক্রপূরণের ৮ বছর পর অধিনায়ক হিসেবে ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ জিতেছেন দিদিয়ের দেশম। ২০ বছর পর তার সামনে এবার সুযোগ এসেছে বেকেনবাওয়ার-জাগালোর রেকর্ডের পাশে নিজের নাম লেখানোর।
এসএএস/এমএস