শেষ ম্যাচটা জিতেই বাড়ি ফিরতে চায় বেলজিয়াম
প্রথমবারের মতো সুযোগ ছিল ফাইনাল খেলার। দারুণ ছন্দে থাকা বেলজিয়ামকে নিয়ে বড় আশা দেখছিলেন ফুটবল ভক্তরাও। তবে সেমিফাইনালে তাদের সেই আশায় ছাই দিয়ে দিয়েছে ফ্রান্স। দিদিয়ের দেশমের দলের কাছে ১-০ হেরে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন ভেঙে গেছে বেলজিকদের। তবে এখনও একটি ম্যাচ বাকি আছে, তৃতীয় স্থান নির্ধারণী। হারানোর বেদনা বুকে নিয়েই সেই ম্যাচটি জিততে চায় বেলজিয়াম। দলের কোচ রবার্তো মার্টিনেজ জানালেন, বিশ্বকাপের ব্রোঞ্জের ম্যাচটিও তারা গুরুত্ব দিয়ে খেলতে চান।
তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচের প্রতিপক্ষ এখনও নির্ধারিত হয়নি। আজ ইংল্যান্ড-ক্রোয়েশিয়ার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে যে দল হারবে, তাদের বিপক্ষেই খেলতে হবে বেলজিয়ামকে। বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার হতাশা চাপা দিয়ে যে ম্যাচটি খেলা ভীষণ কঠিন। তবে কঠিন হলেও ম্যাচটিকে গুরুত্বের সঙ্গেই নিতে চান মার্টিনেজ।
এত কাছে এসে বাদ পড়া নিয়ে বেলজিক কোচ বলেন, 'হতাশাটা তো বিশাল। ড্রেসিংরুম এখন দুঃখে ভারাক্রান্ত। আমি আমার এই খেলোয়াড়দের হতাশ এবং মনোঃকষ্টে দেখতে চাই না। তবে আবেগ আটকে রাখা কঠিন। কারণ আপনি সেমিফাইনাল হেরেছেন। ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে আরেকটি ম্যাচ খেলা খুবই কঠিন।'
তারপরও তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচটিকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চান মার্টিনেজ। কেননা বেলজিয়াম তাদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে কখনই তৃতীয় হয়ে শেষ করতে পারেনি। কোচ বলেন, 'আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, ঘুরে দাঁড়িয়ে সুযোগ বের করতে হবে। বিশ্বকাপে তৃতীয় হওয়ার চেষ্টা করতে হবে, যেটা সচরাচর সম্ভব নয়। বেলজিয়ান ফুটবলে এমন সুযোগ একবারই এসেছিল, ১৯৮৬ সালে। তখন আমরা চতুর্থ হয়ে শেষ করেছিলাম। আমাদের এই ম্যাচের গুরুত্বটা বুঝতে হবে। তবে এটাও বুঝতে হবে, আবেগ আটকে এই ম্যাচটি খেলা কষ্টকর।'
এমএমআর/জেআইএম