সবার দৃষ্টি লুঝনিকি স্টেডিয়ামে
রাশিয়ার ১১ শহরের ১২ ভেন্যুর ১০টির দরজা বন্ধ হয়েছে আগেই। বিশ্বকাপের যে তিনটি ম্যাচ বাকি, তা আয়োজনে বুক পেতে আছে মস্কোর লুঝনিকি আর সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়াম। ১৪ জুলাই পিটার্সবার্গে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচের এক পক্ষ বেলজিয়াম। মস্কো থেকে ইংল্যান্ড নাকি ক্রোয়েশিয়া; কে যাবে তাদের সঙ্গে লড়তে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আজ গভীর রাত পর্যন্ত। লুঝনিকিতে বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে এ দুই দল।
২০ বছর আগে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপ জয়ের পর দ্বিতীয় ট্রফির হাতছানি এখন ফ্রান্সের। দেশটির সোনালি প্রজন্মের ফুটবলাররা দেশকে তুলে এনেছেন ফাইনালমঞ্চে। ১৫ জুলাইয়ের প্রতিপক্ষের অপেক্ষায় দিদিয়ের দেশমের দল। প্রতিপক্ষ হতে পারে ইংল্যান্ড, হতে পারে ক্রোয়েশিয়া।
বিশ্বকাপের সব আলো এখন লুঝনিকি স্টেডিয়ামে। ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ কে হবে ফাইনালে? উত্তর দেবে মস্কোর এ স্টেডিয়াম। ১৫ জুলাই ফাইনাল শেষে কে হাসবে? উত্তর দেবে লুঝনিকি স্টেডিয়াম। দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের ভাগ্য এখন যে স্টেডিয়ামের হাতে, সেই স্টেডিয়ামেই পুরো ফুটবল বিশ্বের নজর থাকবে সেটাই স্বাভাবিক।
ফ্রান্স বিশ্বকাপ জিতেছে ২০ বছর আগে। ইংল্যান্ডের হয়ে গেছে ৫২ বছর। ফরাসিরা ২০ বছরের অপেক্ষা ঘোচানোর সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রেখেছে, ইংল্যান্ডের ৬৬ সাল ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা ধরে রাখতে বুধবার হারাতে হবে ক্রোয়েশিয়াকে।
আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, জার্মানি, স্পেন ও উরুগুয়ের বিদায়ের পর সম্ভাবনা জেগে উঠেছিল নতুন চ্যাম্পিয়ন দেখার। সেমিফাইনালে ফ্রান্সের কাছে বেলজিয়ামের হারের পর বড় ধাক্কা লেগেছে সে সম্ভাবনায়। ফিফটি ফিফটি সম্ভাবনা এখন আর নেই। ক্রোয়েশিয়া ফাইনালে না উঠলে সে সম্ভাবনা নামবে শূন্যের কোঠায়। ইংল্যান্ড ফাইনালে উঠতে না পারলে আবার নতুন চ্যাম্পিয়ন দেখার সম্ভাবনা দাঁড়াবে ফিফটি ফিফটি।
১৪ জুলাই লুঝনিকি স্টেডিয়াম থেকে যাত্রা শুরু করা বিশ্বকাপ ১৫ জুলাই সেখানেই শেষ হবে। মাঝের এক মাস মস্কোরই আরেক ভেন্যু স্পার্টাক স্টেডিয়াম, কালিনিনগ্রাদ, রোস্তভ, কাজান, সামারা, সোচি, নিঝনি নভগোরদ, একাতেরিনবার্গ, মোর্দেভিয়া, ভোলগোগ্রাদ ও সেন্ট পিটার্সবার্গ ঘুরে লুঝনিকিতে শেষ দৃশ্য মঞ্চায়নের অপেক্ষায়।
আরআই/এমএমআর/জেআইএম