কোন দলকে মস্কোর টিকিট দেবে সেন্ট পিটার্সবার্গ?
রাতের আঁধার নামলেই বদলে যায় সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়াম। তখনই বোঝা যায় একই অঙ্গে কত রূপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে রাশিয়া বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা এ ভেন্যুটি। ক্ষণেক্ষণে রং বদলায়-কখনো লাল, কখনো নীল, কখনো বেগুনি। ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি ব্যয়ে নির্মিত স্টেডিয়াম আর দুটি ম্যাচ উপহার দেবে এবারের বিশ্বকাপে। যার সেরাটি হয়ে যাবে আজ রাতে।
এই যে রংয়ে ভরা স্টেডিয়াম সে কার ভাগ্যে লিখে রেখেছে বিশ্বকাপের ফাইনাল। গ্রুপ পর্ব থেকে দ্বিতীয় রাউন্ড। তারপর কোয়ার্টার ফাইনাল- এই পরীক্ষাগুলো পাস করা ফ্রান্স আর বেলজিয়ামের কঠিন পরীক্ষাইতো নিচ্ছে সেন্ট পিটার্সবার্গ। রাতে এখানে যারা জিততে তাদের হাতে মস্কোর টিকিট ধরিয়ে দেবে রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এ শহর। যারা হারবে তাদের রেখে দেবে তৃতীয় হওয়ার লড়াইয়ের জন্য।
আজ সেন্ট পিটার্সবার্গে প্রথম সেমিফাইনাল, বুধবার মস্কোতে দ্বিতীয়টি। রাশিয়ার রাজধানী শহরে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড খেলবে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে। দুই ভেন্যুতেই নতুন-পুরাতনের লড়াই। ফ্রান্স-বেলজিয়াম প্রথম সেমিফাইনাল ঘিরে দুই দলের সমর্থকরা জড়ো হয়েছে সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে। দুই দলের সমর্থকদেরই আত্মবিশ্বাস তারা শেষ ম্যাচটি খেলবে মস্কোতে-১৫ জুলাই। পরের ম্যাচটা সেন্ট পিটার্সবার্গে দেখতে চায় না কোনো দলের সমর্থকরাই।
লড়াইটা যে হাড্ডাহাড্ডি হবে তাতে সন্দেহ নেই। ফ্রান্স-বেলজিয়াম দুই দলই তাদের সোনালী প্রজন্ম নিয়ে এই বিশ্বকাপে এসেছে। দুই দলের কাছে বিধ্বস্ত হয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে মেসিদের আর্জেন্টিনা ও নেইমারদের ব্রাজিল। সব বিশ্বকাপের দুই হট ফেভারিট ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাকে বিদায় দেয়া দুই দলই যে ট্রফি নিয়ে ঘরের যোগ্যতা রাখে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সেমিফাইনালপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে দুই দলের কোচই প্রতিপক্ষকে সমীহ করে মাঠে নামার কথা বলেছেন। ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম যেমন, বেলজিয়ামকে বলেছেন অসাধারণ আক্রমনাত্মক দল। তেমন বেলজিয়ামের কোচ রবার্তো মার্টিনেজও ফ্রান্স দলকে উল্লেখ করেছেন ভয়ংকর হিসেবে। এ ম্যাচ জিততে নিজেদের সেরা যে দিতে হবে তা দুই কোচই মনে করিয়ে দিয়েছেন তার শিষ্যদের।
লড়াইটা হতে পারে ৯০ মিনিটের। হতে পারে ১২০ মিনিটেরও। এমন কী ফাইনালের টিকিট পেতে দুই দলকে টাইব্রেকার পর্যন্ত যেতে হতে পারে। তাইতো সোমবার শেষ অনুশীলনে দুই দলের কোচকেই মনোযোগী দেখা গেলো পেনাল্টি শট অনুশীলনে।
আরআই/এসএএস/আরআইপি