ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

নেইমারের কারণে ১৪ মিনিট খেলা নষ্ট!

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৬:৪৮ পিএম, ০৫ জুলাই ২০১৮

রাশিয়া বিশ্বকাপে যতটা মাঠে নিজের পারফরমেন্স দিয়ে আলচিত নেইমার, তার চেয়ে বেশি যেন সমালোচিত মাঠে তার ইনজুরিতে পড়ার ভান করা নিয়ে। স্বভাবতই ব্রাজিল দলের সেরা তারকা খেলোয়াড় হওয়ার কারণে, মাঠে প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়রা একটু কড়া পাহারায় রাখেন তাকে। এ পর্যন্ত গত চার ম্যাচে তাই মোট ২৩টি ফাউলের স্বীকারও হয়েছেন তিনি।

তবে সমস্যাটা হল, মাঠে ফাউলের শিকার হওয়ার পর তার প্রতিক্রিয়া নিয়ে। এখন পর্যন্ত তাকে করা অনেকগুলো ফাউল একটু বেশিই কঠোর ছিল। তবে ফাউলের চেয়ে তার চোট পাওয়ার অভিনয়টা যেন একটু বেশি করে ফেলছেন নেইমার। ম্যাচের প্রায় অনেক সময় নষ্ট করছেন মাঠে তার এই ‘চোটাভিনয়’ দিয়ে।

আরও বেশি আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ফাউল হওয়ার পর লুটোপুটি খেয়ে গিয়ে যত ব্যাথা পাওয়ার প্রতিক্রিয়াই নেইমার দেখাক না কেন, কিছু সময় নষ্ট হওয়ার পর দেখা যায় মাঠে ঠিক আগের মতোই বেশ সাবলীল তিনি। ঠিক এই কারণেই মাঠের বাইরে তাকে নিয়ে এতো সমালোচনা-সমালোচনা।

ফিফা এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আরটিএস’-এর গণনায় এখন পর্যন্ত নেইমারের জন্য ব্রাজিলের খেলা চারটি ম্যাচে মোট ১৪ মিনিট নষ্ট হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয়েছে মেক্সিকোর সাথে শেষ ষোলোর ম্যাচে। মেক্সিকোর সাথে ওই ম্যাচে মাঠে মোট ৫ মিনিট ২৯ সেকেন্ড খেলা বন্ধ ছিল নেইমারের জন্য; উল্লেখযোগ্য অংশ হচ্ছে, খেলার গুরুত্বপূর্ণ শেষের দিকে। অর্থাৎ, ৭১ মিনিটের সময় মেক্সিকান খেলোয়াড় লায়ুনের বুট তার পা চাপা দিলে সেখানেও নষ্ট হয় দুই মিনিটেরও বেশি।

এছাড়াও গ্রুপ পর্বে সুইজারল্যান্ডের সাথে ৩ মিনিট ৪০ সেকেন্ড, সার্বিয়ার সাথে ১ মিনিট ৫৬ সেকেন্ড নষ্ট হয়েছে নেইমারের জন্য। যদিও, ম্যাচের শেষে ইনজুরি সময় দেওয়া হয়, যাতে মাঠের নষ্ট হওয়া সময়টুকু দলগুলো কাজে লাগাতে পারে। তবে এটাও ঠিক, যে সময়টা দেওয়া হয়, তা মোটেও হিসেব বরাবর হয় না।

তাই, নেইমারের মাঠে এরকম অতিরঞ্জিত ব্যাপারগুলো নিয়ে ক্ষুদ্ধ প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড় আর কোচদের। শেষ ষোলোর ম্যাচের পর তো মেক্সিকান কোচ হুয়ান কার্লোস ওসারিও রীতিমত ধুয়ে দিয়েছেন ব্রাজিলের সেরা তারকাকে। নাম উল্লেখ না করলেও, নেইমারকে ইঙ্গিত করে বলেন, ফুটবলের জন্য এটা লজ্জ্বাজনক এক ব্যাপার। তার মতে, এটা ছেলেদের খেলা। মেয়েদের মত মাঠে আচরণ করলে কিভাবে হবে!

এসএস/আইএইচএস/পিআর

আরও পড়ুন