কলম্বিয়াকে জোচ্চুরি করে হারানো হয়েছে : ম্যারাডোনা
শেষ ষোলর খেলায় গতকাল রাতে কলম্বিয়াকে টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে ইংল্যান্ড। তবে ইংল্যান্ডের জয়ের পরও সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হচ্ছে রেফারির পক্ষপাত মূলক আচরণ নিয়ে। সেই রেফারিং নিয়ে কথা বললেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তী ডিয়েগো ম্যারাডোনাও। একেবারে স্পষ্টভাবেই রেফারিকে চোর বললেন।
বিশ্বকাপ উপলক্ষে ভেনেজুয়েলার রেডিওতে নিয়মিত টক-শো করছেন ম্যারাডোনা। সেখানেই মাঠের রেফারিং নিয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ী এই সাবেক আর্জেন্টাইন প্লে-মেকার।
'দে লা মানো দেল ডিয়াজ' অনুষ্ঠানে কথা বলার সময় ম্যারাডোনা বলেন, 'আমি প্রথমে সত্যিই আশ্চর্যিত হয়ে গেছিলাম যখন আমি ইনফান্তিনোর সাথে প্রথমবার সাক্ষাৎ করি। কেননা, আগের সকল কিছুই যেন পরিবর্তিত লাগছিলো আমার কাছে। চোরদের বিতাড়িত করে দেওয়া হয়েছিল, সবকিছু ঠিকঠাকভাবে চলছিল। তবে আজ মাঠে আমি যেন পূর্বপরিকল্পিত ডাকাতি দেখলাম। আমার এখনও স্পষ্ট মনে আছে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে অযথাই ব্রাজিলকে পেনাল্টি উপহার দেওয়ায় গেইগার ৬ মাস রেফারিং থেকে নির্বাসিতও ছিল।'
তবে শুধু এখানেই থেমে ছিলেন না ম্যারাডোনা। তুললেন বিশ্বকাপের নতুন প্রযুক্তি 'ভিএআর'য়ের কথাও। ম্যারাডোনার মতে 'ভিএআর' থাকতে কেন রেফারি তা নিলেন না এবং সরাসরি পেনাল্টির সিদ্ধান্তই নিলেন। অন্তত একবার নিশ্চিত হয়েও নিতে পারতো তিনি।
পুরো ম্যাচজুড়েই ইংলিশ খেলোয়াড়দের পক্ষে সিদ্ধান্ত দিতে দেখা গেছে এ আমেরিকান রেফারিকে। তবে সবার মতে, তার ৫৪ মিনিটে ওই পেনাল্টি দেওয়ার সিদ্ধান্তটাই ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় কলম্বিয়াকে।
যদি তখন ইংল্যান্ড ওই পেনাল্টি না পেত, তবে হয়ত আর টাইব্রেকে গিয়ে হেরে বিদায় নিতে হত কলম্বিয়াকে। ম্যাচে রেফারির এই পক্ষপাত দুষ্ট আচরণে যেমন খেপেছেন কলম্বিয়ার খেলোয়াড় সাবেক কর্মকর্তারা, তেমনি থেমে নেই সাবেক খেলোয়াড়রাও।
আমেরিকান রেফারি মার্ক গেইগারকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে কিংবদন্তী ম্যারাডোনা আরও বলেন, 'এই রেফারি নিশ্চিত বেসবল সম্পর্কে খুব ভাল জানে, তবে ফুটবল সম্পর্কে তার বিন্দুমাত্র জ্ঞান নেই। সে চুরি করে কলম্বিয়াকে বিদায় করে দিয়েছে।'
এসএস/আরআর/জেআইএম