ইতিহাসে এগিয়ে আর্জেন্টিনা, সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে ফ্রান্স
রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রথম নকআউট ম্যাচে মুখোমুখি হবে ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা। অন্য যেকোন সময় এই ম্যাচে পরিষ্কার ফেবারিট ধরা হতো দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে। কিন্তু দলটির সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে তাদের পক্ষে বাজি ধরার লোক আছে খুব অল্পই। ‘লা ব্লুজ’ খ্যাত ফ্রান্স ঠিক এই দিকেই আর্জেন্টিনার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
‘সি’ গ্রুপে নিজেদেরর তিন ম্যাচে অপরাজিত থেকেই দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স। আন্তোনিও গ্রিজম্যান, অলিভিয়ের জিরু, কাইলিয়ান এমবাপেদের নিয়ে গড়া আক্রমণভাগ যেকোন দলের মনেই ভয় ধরাতে যথেষ্ট। এর সাথে মাঝমাঠে পল পগবা, এনগোলো কন্তের মতো পরীক্ষিত সেনানি, গোলবারের নিচে হুগো লরিসের মতো অতন্দ্র প্রহরীর উপস্থিতি দলটিকে এবারের বিশ্বকাপ শিরোপার অন্যতম দাবিবার করে তুলেছে।
দ্বিতীয় রাউন্ডে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ এই আর্জেন্টিনা, তারা প্রথম পর্ব থেকে দ্বিতীয় পর্বে উঠতে জয় পেয়েছে মাত্র এক ম্যাচে। আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ড্র পাওয়া ম্যাচেও ছিল না ভালো খেলার ছাপ। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলে হারা ম্যাচটিতে দেখা গেছে চূড়ান্ত ব্যর্থ এক দলকে। এর আগে বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারেও ঠিক ছন্দে ছিল না আলবিসেলেস্তেরা।
তবে দুই দলের অতীত ইতিহাস পর্যালোচনা করলে ধোপে টেকার সুযোগ নেই ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ জয়ী দল ফ্রান্সের। এখনো পর্যন্ত ১১টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা। মাত্র ২ ম্যাচে জিততে পেরেছে ফ্রান্স। বাকি ৯ ম্যাচের ৬টিতেই জয়ী দল আর্জেন্টিনা, ড্র হয় বাকি তিন ম্যাচ।
বিশ্বকাপে দুই দলের মুখোমুখি পরিসংখ্যান ফ্রান্সের জন্য আরও বেশি হতাশার। ১৯৩০ ও ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপে দুই ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা। দুই ম্যাচে যথাক্রমে ১-০ ও ২-১ ব্যবধানে জিতেছে আর্জেন্টিনা। ৪০ বছর পর আবারো বিশ্বকাপের মঞ্চে মাঠে নামবে দুই দল।
অতীত ইতিহাস ও পরিসংখ্যানের বিচারে আর্জেন্টিনার ধারে কাছেও নেই ফ্রান্স। তেমনিভাবে সাম্প্রতিক পারফরম্যানসে অনেকটাই পিছিয়ে আর্জেন্টিনা। তবে এত সব পরিসংখ্যান কিংবা সাম্প্রতিক সাফল্য; কোনোটাই প্রভাব ফেলবে না মাঠের খেলায়। নির্দিষ্ট দিনে ভালো খেলবে যেই দল, ম্যাচ শেষে সাফল্যের হাসি থাকবে সেই দলেরই সাথে।
এসএএস/আরআইপি