‘রোজা ভাঙতে রাজি হয়নি ফুটবলাররা, এটাই ভুগিয়েছে’
বড় আশা নিয়ে বিশ্বকাপে পা রেখেছিল মিসর। ২৮ বছর পর তারা খেলতে এসেছিল। কিন্তু মূলমঞ্চে একেবারেই নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি ফারাওরা। তিন ম্যাচের সব কটি হেরে গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে তারা। দলের এমন ব্যর্থতার জন্য বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে রোজার ধকলকে বড় কারণ মনে করছেন মিসর ফুটবল এসোসেয়িশেনের (ইএফএ) প্রধান হ্যানি আবু রিদা।
মুসলমানদের উপর রোজা ফরজ। খেলার অজুহাতে সেটা ত্যাগ করার উপায় নেই। অনেকে ধর্মীয় অনুশাসন ভাঙলেও মিসরের ফুটবলাররা মোটেই রাজি হননি। বিশ্বকাপের আগের দিন পর্যন্ত রোজা চলেছে, এক মাসব্যাপী তারা সেটা পালন করেছেন।
আবু রিদা মনে করছেন, রোজার সময়টায় বিশ্বকাপ পড়ে যাওয়াতেই মিসরের ক্ষতি হয়ে গেছে। তিনি বলেন, 'এটা আমাদের বেশ ভুগিয়েছে। আমি বিশ্বকাপের আগে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তবে তারা রাজি হয়নি (রোজা ভাঙতে)। উরুগুয়ে ম্যাচের আগের দিন রমজান শেষ হয়। রোজায় তারা ক্লান্ত ছিল। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, আরবের অনেক দেশই তাদের খেলোয়াড়দের রোজা ভাঙিয়েছে।'
দলের ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে কোচ হেক্টর কুপার দায়িত্ব ছেড়েছেন। তার জায়গায় কাকে নিয়োগ দেবে মিসর? শোনা যাচ্ছ, মরক্কোর ফরাসি কোচ হার্ভ রেনার্ডের নামটি। তবে আবু রিদা এমন সম্ভাবনা উড়িয়েই দিলেন, 'আমি জানি, তার মরক্কোর সঙ্গে চুক্তি রয়েছে। তাই তার সঙ্গে আমরা কথা বলব না। তবে তিনি যদি চুক্তি শেষ করেন এবং ফ্রি থাকেন, তবে তার সঙ্গে কথা বলা যেতে পারে।'
এমএমআর/পিআর