ড্র করেও রানার্সআপ হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে সুইজারল্যান্ড
বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার লক্ষ্যে উত্তর আমেরিকার দেশ কোস্টারিকার বিপক্ষে মাঠে নামে শক্তিশালী সুইজারল্যান্ড। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্রাজিলের সঙ্গে ড্র এবং দ্বিতীয় ম্যাচে সার্বিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়ে গ্রুপে ভালো অবস্থানে ছিল তারা। শেষ ম্যাচে কোস্টারিকা বেশ ভালোই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে তাদের সঙ্গে। অতিরিক্ত সময়ে কোস্টারিকার অধিনায়ক ব্রায়ান রুইজ পেনাল্টি মিসের পর আত্মঘাতী গোল না হজম করলে জয়ী হয়েই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতো তারা। শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলের ড্রয়ে রানার্সআপ হয়ে পরের রাউন্ডে উঠলো সুইসরা।
প্রথমার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণ করে খেলতে থাকে ইউরোপিয়ান দলটি। কিন্তু ম্যাচের প্রথম সুযোগটি পায় কোস্টারিকা। ৮ মিনিটে কলিন্দ্রেস ডি বক্সের সামান্য বাইরে বল পেলে তা গোলবারের উপর দিয়ে মারেন। ১০ মিনিটে আবারো সেই কলিন্দ্রেসের শট গোলবারের লেগে প্রতিহত হলে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম গোল বঞ্চিত হয় গতবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা দলটি।
১৭ মিনিটে আবারো গোলবারে বল লেগে ফিরে আসে। তবে এবার সুইজারল্যান্ড তারকা গাভরানোভিচের শট। ৩১ মিনিটে সুইজারল্যান্ডকে আনন্দে ভাসান জেমাইলি। এমবোলোর হেড থেকে পাওয়া বলে গোলমুখের একদম সামনে থেকে বুলেট গতির শটে গোল করে সুইসদের ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন তিনি। প্রথমার্ধের বাকি সময় আর কোন আক্রমণ না হলে এক গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় সুইজারল্যান্ড।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে গোল শোধে মরিয়া হয়ে খেলতে কোস্টারিকা। ৫৬ মিনিটে ক্যাম্পবেলের পাস থেকে ওয়াস্টন দারুণ গোল করলে কোস্টারিকা পায় এবারের বিশ্বকাপের প্রথম গোল। শুধু তাই নয়, ৩২তম দল হিসেবে বিশ্বকাপে গোল পেল উত্তর আমেরিকার দেশটি।
ম্যাচের উত্তেজনা ছড়ায় শেষ ১০ মিনিটে। ৮৮ মিনিটে জাকারিয়ার পাস থেকে সুইজারল্যান্ডের দ্রিমিচ গোল করে সুইসদের ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন। তখনও বাকি ছিল ম্যাচের অনেক নাটক। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের তিন মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় কোস্টারিকা।
ব্রায়ান রুইজ পেনাল্ট মিস করলেও সেটি সুইস গোলরক্ষকের গায়ে লেগে গোলমুখে প্রবেশ করলে আত্মঘাতী গোলে ম্যাচ ড্র করে কোস্টারিকা। ফলে রানার্সআপ হয়েই পরের রাউন্ডে পা রাখে সুইজারল্যান্ড। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ আরেক ইউরোপিয়ান দল সুইডেন।
আরআর/বিএ