ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

এশিয়ার আশা টিকিয়ে রাখতে পারবে কি জাপান?

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৭:৩১ পিএম, ২৭ জুন ২০১৮

‘দশে মিলে করি কাজ হারি জিতি নাহি লাজ’ বিশ্বকাপে এশিয়ান দলগুলোর অবস্থা হয়েছে এমন যে, সবাই বাদ হয়ে গেছে টিকে আছে শুধু জাপান তাই এবার জাপানকে সমর্থন দাও। বিশ্বকাপ ফুটবলে একমাত্র এশিয়ান দেশ হিসেবে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার সম্ভাবনা টিকিয়ে রেখেছে জাপান। ব্লু সামুরাইদের এই আশার আলো কতদিন জ্বলবে সেটা শক্তিশালী পোল্যান্ডের বিপক্ষেই বোঝা যাবে।

১৯৯৮ সালে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাওয়ার পর প্রতিটা বিশ্বকাপে জাপানের দাপট ছিল দেখার মত। ২০০২ সালে তো নিজ দেশে হওয়া বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড পর্যন্ত উঠেছিল। ২০১০ সালে আরেকবার দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলেও মাঝের সময়টায় হওয়া বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায়ের ঘন্টা বেজেছিল তাদের।

এবার তেমন কঠিন সমীকরণের মাঝে নেই জাপানিজরা। পোল্যান্ডের বিপক্ষে হার এড়াতে পারলেই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত। যেখানে অন্য এশিয়ান দলগুলোর অবস্থা শোচনীয় সেখানে তারা প্রথম ম্যাচেই শক্তিশালী কলম্বিয়াকে হারায়। দ্বিতীয় ম্যাচে দুবার পিছিয়ে পড়েও আফ্রিকান দেশ সেনেগালের বিপক্ষে লড়াই করে ড্র করে তারা।

বিশ্বকাপে ইরান, অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া স্বপ্ন নিয়ে আসলেও প্রথম রাউন্ড থেকেই তাদের বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষ ম্যাচে পোল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ কিছু খেলার ইঙ্গিত দিয়েছেন জাপানিজ ফুটবলার কেইসুকে হোন্ডা। টানা দুই ম্যাচে বদলি হিসেবে নেমে ম্যাচের মোড় পালটে দিয়েছেন সাবেক এই এসি মিলান তারকা।

হোন্ডা ছাড়াও জাপানিজ দলে রয়েছে একঝাক প্রতিভাবান ফুটবলার। দলের অভিজ্ঞতার দিকে হোন্ডার পরেই রয়েছেন বুরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে খেলা শিনজি কাগাওয়া। কলম্বিয়ার বিপক্ষে তিন মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে জাপানের হয়ে প্রথম গোলটি করেছিলেন তিনিই। মাঝমাঠ দুর্দান্তভাবে নিজের দখলে রেখে খেলতে বেশ পটু তিনি।

শেষ ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখের লেভেন্ডোভস্কির বিপক্ষে লড়াইটা যে কঠিন হবে না তাদের সেটার ইঙ্গিত দিয়েছেন দলটির অধিনায়ক লেভেন্ডোভস্কি নিজেই। ‘বিশ্বকাপের আগে আমাদের অনেকগুলো ইনজুরি সমস্যা ছিল। আমি ম্যাচে কোন সুযোগই পাইনি গোল করার। যদি সুযোগ পেয়েও মিস করতাম তাহলে ব্যাপারটা আমার জন্য খারাপ ছিল। আমি দলের কাউকে দোষারোপ করতে চাই না। আমরা সবাই মিলে হেরেছি। সতীর্থরা না থাকলে আমরা এতদূর আসতে পারতাম না।’

আরআর/জেআইএম

আরও পড়ুন