সমালোচনার মুখে চুল কেটে ফেললেন নেইমার
বিশ্বকাপ শুরুর আগে হঠাৎই নতুন হেয়ারস্টাইল নিয়ে সবার সামনে হাজির হলেন ব্রাজিল সুপারস্টার নেইমার। হালকা বাদামি রংয়ের চুলের নতুন স্টাইল দেখলে মনে হবে যেন নেইমারের মাথার ওপর একবাটি নুডলস বসিয়ে দিয়েছে কেউ। নেইমারের নতুন চুলের স্টাইল দেখে সারা বিশ্বেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। যে কারণে, সবাই একে অভিহিত করছিল ‘নুডলস’ স্টাইল হিসেবে।
এমনকি সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ব্রাজিলের ১-১ গোলে ড্র করার পেছনেও কেউ কেউ নেইমারের চুলের এই বাজে স্টাইলকেই দোষারোপ করতে শুরু করে দিয়েছিল। অবশেষে তীব্র সমালোচনার মুখে নিজের ‘নুডলস’ চুলের স্টাইল পরিবর্তন করতে বাধ্য হলেন নেইমার।
মাঠ কাঁপানোর সঙ্গে সঙ্গে নানা ধরনের স্টাইলিশ লুক দেওয়াতেও ব্যাপক খ্যাতি রয়েছে নেইমারের। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্বকাপের আগে তিনি হাজির হন নুডলস স্টাইল নিয়ে। নেইমারের চুলের স্টাইল নিয়ে শুরুতে খুব বেশি প্রতিক্রিয়া না হলেও, সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ আশানুরূপ পারফরমেন্স করতে না পারায় স্বয়ং ব্রাজিলেই তীব্র সমালোচনা তৈরি হয়েছে নেইমারকে নিয়ে।
ব্রাজিলিয়ানরাই বলতে শুরু করেছিল, দলীয় খেলার চেয়ে নিজের স্টাইল নিয়েই বেশি মনযোগী নেইমার। খোঁচা দিয়েছেন অনেক সাবেক খেলোয়াড়েও। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক তারকা এরিক ক্যান্টোনা তো এক ধাপ এগিয়ে নুডলসের ছবির পাশে নেইমারের মাথার চুলের ছবি জোড়া লাগিয়ে দিয়ে টুইটারে শেয়ারও করেছেন।
অবশেষে তীব্র সমালোচনার পর হেয়ারস্টাইলে কিছুটা পরিবর্তন করেই কোস্টারিকার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে অনুশীলন করছেন নেইমার। লম্বা আধা কালো-সোনালি রঙের চুল ছেঁটে এখন ছোট কালো-সোনালি রঙ করেছেন নেইমার।
তবে এত সমালোচনাকে নেইমার নিজেও তোয়াক্কা করছেন না। অনেকটা ক্ষিপ্ত হয়ে ইন্সটাগ্রামে দেওয়া এক ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র সুদর্শন বলে আজ আমি এখানে আসিনি। আমার নাম নেইমার বলেও আমি এখানে নই। আর আমার চুলের ধরণের জন্যও আমাকে দলে নেওয়া হয়নি। আমি আজ এখানে এসেছি শুধুমাত্র আমার ফুটবলের জন্য। যেহেতু ফুটবল খেলা দিয়েই এখানে এসেছি, সেহেতু আমার আনুষঙ্গিক এই বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনার কিচ্ছু নেই।’
এসএস/আইএইচএস/পিআর