বিশ্বকাপ জ্বরে কাঁপছে ক্রিকেট অঙ্গনও
শুধু শুধুই তো আর একে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ বলা হয় না! কার্যতভাবেই এই নামের সার্থকতা রয়েছে ফুটবল বিশ্বকাপের। ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপ জ্বরে কাঁপছে ফুটবল দুনিয়া, বাদ যায়নি ক্রিকেটাঙ্গনও। ক্রিকেট খেলে এমন দেশগুলোর ভেতর কেবল মাত্র অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ডই রাশিয়া বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছে। তাই বলে কি বাকি দেশের ক্রিকেটাররা বসে আছেন?
প্রথমেই আসা যাক, বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের কথায়। বাংলাদেশের ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল, পেসার তাসকিন আহমেদ আর রুবেল হোসেন ব্রাজিলিয়ান সমর্থক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নিয়মিতই ব্রাজিল নিয়ে তাদের উন্মাদনা দেখা যায়। সম্প্রতি ব্রাজিলের সাজে তাসকিন আর রুবেলের একটি ছবি ইতোমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে।
অবশ্য তাদের বিপরীতে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা আর টেস্ট ও টি-২০ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দুজনই আর্জেন্টিনার বড় ভক্ত।
পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি আবার বর্তমান ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জার্মানির ভক্ত। প্রথম ম্যাচে পছন্দের দল হেরে যাওয়ায় দলকে সামনের ম্যাচগুলোতে ভালো করার শুভকামনা জানিয়ে আফ্রিদি টুইট করেন এই লিখে, ‘জার্মানদের অবশ্যই উঠে দাঁড়ানোর প্রয়োজন। তাদের ফিরে আসার সেই সামর্থ্যও আছে। এগিয়ে যাও জার্মানি।’
ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইনের বড় ভক্ত। বিশ্বকাপের জন্য হ্যারি কেইনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান লেখেন, ‘বিশ্বকাপ ভালো করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা খেলোয়াড় ডোয়াইন ব্রাভো একজন রোনালদো ভক্ত। পর্তুগাল আর স্পেনের ম্যাচেও পর্তুগালকে সমর্থন জানাতে দেখা গেছে এই অলরাউন্ডারকে।
ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ডের যে কথা কাটাকাটির লড়াই চলে, ফুটবলে সেটা নেই বললেই চলে। তবে খেলার বাইরে কথার লড়াই এখানেও থেমে নেই। সাবেক অস্ট্রেলিয়ান পেসার জেসন গিলেস্পি সেই কথার আগুনে যেন ঘি ঢেলে দিয়েছেন। ইংল্যান্ড-তিউনিসিয়া ম্যাচে তিউনিসিয়াকে সমর্থন জানিয়ে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাতেও দেখা গিয়েছে তাকে।
এদিকে বিশ্বকাপে নিজের দেশকে সমর্থন করতে গিয়ে নিজের পুরো বেড রুমকেই পতাকার রঙে সাজিয়েছেন সাবেক ইংলিশ স্পিনার গ্রায়েম সোয়ান। নিজের ছেলের ছবিসহ পুরো রুমের ছবি দিয়ে ইংল্যান্ডকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি। আরও অনেকেই প্রিয় দলকে সমর্থন জানিয়েছেন। ক্রিকেটটা তাদের রক্তে, তাই বলে ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা তো আর কমতে পারে না!
এসএস/এমএমআর/জেআইএম