ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

সাম্পাওলির অধীনে কেমন খেলছেন মেসি!

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০১:৩৬ এএম, ০৬ জুন ২০১৮

দেখতে দেখতে চার নম্বর বিশ্বকাপের সামনে দাঁড়িয়ে আর্জেন্টিনা তথা বিশ্ব ফুটবলের আঙিনায় নান্দনিক খেলা উপহার দেয়া লিওনেল মেসি। ২০০৬ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলার পর একে একে খেলে ফেলেছেন ২০১০ এবং ২০১৪ বিশ্বকাপও। নিজের প্রথম বিশ্বকাপের মতো দ্বিতীয় বিশ্বকাপেও দল কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয়। তৃতীয় বিশ্বকাপে এসে ১৯৯০ সালের পর প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠে আর্জেন্টিনা। মেসির সেই প্রথম ফাইনালটাকে বেদনাবিধুর করে দেয় জার্মানি। আরো একটি বিশ্বকাপের সামনে দাঁড়িয়ে মেসি। দলের প্রধান কোচ হোর্হে সাম্পাওলির প্রধান ভরসাই এই ক্ষুদে যাদুকর। মেসিকে কেন্দ্র করেই সাজানো হচ্ছে দলের সব পরিকল্পনাও। কিন্তু সাম্পাওলির অধীনে কেমনই বা খেলছেন মেসি? তার অধীনে কি আরো একটি বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠা সম্ভব?

২০০৫ সালে আর্জেন্টিনার অভিষেক হওয়ার পর সাম্পাওলির পূর্বে মোট ৭ জন কোচের অধীনে খেলেছেন মেসি। হোসে পেকারম্যান তার প্রথম কোচ। তার অধীনেই ২০০৬ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পান মেসি। একটি গোলও করেছিলেন সেই বিশ্বকাপে। পেকারম্যানের বিদায়ের পর আলফিও বাসিল আসেন আর্জেন্টিনার ডাগআউটে। তারপরেই ২০১০ বিশ্বকাপে ফুটবল ঈশ্বর ডিয়েগো ম্যারাডোনার অধীনে আর্জেন্টিনার ঐতিহাসিক ‘১০’ নম্বর জার্সি গায়ে মাঠ দাপিয়ে বেড়িয়েছিলেন মেসি। কিন্তু পারেননি দলকে শিরোপার স্বাদ এনে দিতে।

শিরোপা খরা ঘোচাতে আনা হয় সার্জিও বাতিস্তাকেও। তিনিও দলকে খাঁদের কিনারায় রেখে বহিষ্কৃত হন। আলেহান্দ্রো সাবেলা আর্জেন্টিনার কোচ থাকাকালীন আর্জেন্টিনার জার্সিতে সবচেয়ে সফল ছিলেন মেসি। তার অধীনে তিন বছর খেলে ২০১৪ বিশ্বকাপে দলকে ফাইনালে পর্যন্ত তোলেন বার্সেলোনার এই ফুটবলার। কিন্তু ফাইনালে হেরে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাকে। সাবেলার বিদায়ের পর জেরার্ডো মার্টিনো এবং এদুয়ার্দো বাউজার অধীনে ভালো খেললেও দলকে শিরোপা এনে দিতে ব্যর্থ হন মেসি। মার্টিনোর অধীনে দুবার কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেও চিলির কাছে টাইব্রেকারে হারতে হয় আর্জেন্টিনাকে।

২০১৭ সালের মে মাসে সেভিয়ার কোচ থাকাকালীন আর্জেন্টিনার নতুন কোচের দায়িত্ব পান হোর্হে সাম্পাওলি। এর আগে চিলিকে তাদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোপা আমেরিকা জয় করানো এই কোচ দায়িত্ব নিয়েও ভাযাচোরা আর্জেন্টিনা দলকে পুনর্গঠিত করার মিশনে নেমে পড়েন। যেখানে তার কাছে ট্রাম্প কার্ড হিসেবে ছিলেন মেসি।

সাম্পাওলির অধীনে ৭টি ম্যাচে খেলার সুযোগ হয়েছে মেসির যেখানে ৬৩০ মিনিটে মাঠে ছিলেন এই ফুটবলার। দুই হ্যাটট্রিকে ৭ ম্যাচে তার গোল সংখ্যা ৬টি এবং সতীর্থদের করিয়েছেন ১টি। আশ্চর্য হলো এই যে, মেসি খেলেছেন এমন ম্যাচে সাম্পাওলি কখনোই হারের মুখ দেখেননি। ৭ ম্যাচের ৪টিতে জয় এবং ৩টিতে ড্র। বিশ্বকাপের পাঁচ গোলের ভেতর ২০১৪ বিশ্বকাপেই সাবেলার অধীনে সর্বোচ্চ ৪টি গোল করেছিলেন মেসি। ২০১৮ বিশ্বকাপে পুরো দল আবারো তাকিয়ে থাকবে তার দিকে। ব্রাজিল বিশ্বকাপের থেকেও আরো বেশি গোল তার চাই রাশিয়া বিশ্বকাপ জিততে। সময়েই কেবল উত্তর জানাতে পারবে মেসি সাম্পাওলির অধীনে পারবেন কি না।

আরআর/বিএ

আরও পড়ুন