ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

মরক্কোকে বিশ্বকাপের ফাইনালে দেখছেন বেনাতিয়া

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৮:১৪ পিএম, ২৪ মে ২০১৮

বিশ বছর পর আবারো বিশ্বকাপের মূল পর্বে আফ্রিকার মুসলিম দেশ মরক্কো। মূলত দলগত নৈপূণ্যেই বিশ্বকাপে আবার ফিরে এসেছে দলটি। দলটির পারফরম্যান্স নিয়েও তাই আশাবাদী জুভেন্টাসে খেলা মরক্কোর অধিনায়ক মেহদি বেনাতিয়া। গ্রুপ পর্বের বাঁধা টপকে বিশ্বকাপের ফাইনালেই মরক্কো দেখছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

ফ্রান্স২৪ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের এমন স্বপ্নের কথাই অকপটে স্বীকার করেছেন বর্তমানে ইতালিয়ান ক্লাবে খেলা এই ডিফেন্ডার। ২০১০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেন, বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল এবং এশিয়ান পরাশক্তি ইরানের সঙ্গে একই গ্রুপে পড়লেও নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেললে ভাল কিছু করার আশা দেখছেন এটলাস লায়ন্স খ্যাত দলের অধিনায়ক।

‘আমরা ইতোমধ্যেই জানি এটা অনেক কঠিন কিছু হতে যাচ্ছে। আপনি যখন বিশ্বকাপের মত আসরে খেলার সুযোগ পাবেন, আপনি এই ম্যাচগুলো খেলতে চাইবেন, বিশেষ করে স্পেনের সাথে যারা কিনা পৃথিবীর অন্যতম সেরা দলের। এটা গর্ব করার মত এবং অসম্ভব সুন্দর একটা প্রতিযোগিতা হবে।’

বিশ্বকাপের ফাইনালে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে বেনাতিয়া আরও বলেন,"আমি চাই মরক্কোর সমর্থকেরা মস্কোর রাস্তায় আনন্দ করে বেড়াক। কেননা আমার এই দলের উপর পূর্ণ আস্থা আছে। বিশ্বকাপের আগে আমাদের দলের সবাই এক হয়ে লড়াই করার চিন্তাভাবনায় এসে গিয়েছে, যেটা আমরা প্রীতি ম্যাচেই দেখতে পেয়েছি। আমাদের নিজেদের মাঝে শক্ত বন্ধন তৈরি হয়েছে এবং এটা দিয়েই আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। আমি চোখ বুঝলেই দেখি, আমরা প্রথম পর্ব পেরিয়ে দ্বিতীয় পর্বে আর সেখানে ফ্রান্স এমনকি আর্জেন্টিনাকেও হারিয়েছে আমরা। এটা বিশ্বকাপ এবং এখানে সব কিছুই সম্ভব!’

আবারও পুরনো ক্লাব অলিম্পিক মার্শেইতে যোগ দেওয়ার গুঞ্জন নিয়ে, ‘আমি ওখানেই (অলিম্পিক মার্সেই) বড় হয়েছি। আমি পেশাদারদের সাথে খেলার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনা। আমি যদি আমার পিছনে তাকাই এটা ভাল ছিল। আমি বর্তমানে যেখানে আছি ভালই আছি।’

৩১ বছর বয়সী মরক্কোর বর্তমান এই অধিনায়ক তার ক্যারিয়ারের বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছেন ইতালিয়ান ক্লাবগুলোতে। খেলেছেন উদিনেস, রোমা ও বর্তমানে সিরি-আ চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাসের হয়ে। মাঝ পথে বছরখানেকের জন্য লোনে বুন্দেসলিগা জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখেও খেলছেন রক্ষণভাগের এই সৈনিক।

এসএস/আরআর/পিআর

আরও পড়ুন