ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

পেরু অধিনায়কের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার প্রতিপক্ষরাও

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১২:৫২ পিএম, ২২ মে ২০১৮

লাতিন আমেরিকার দেশ পেরু বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করেছে দীর্ঘ ৩৬ বছর পর। সেই ১৯৮২ সালের পর এবার রাশিয়ায় বিশ্বকাপ খেলতে নামছে লাল-সাদারা। আর তাদের এ বিশ্বকাপ অভিযানের অন্যতম কাণ্ডারি ছিলেন দলটির অধিনায়ক পাওলো গুরেরো।

তবে পেরুর এ উৎসব অনেকটাই মলিন হয়ে গিয়েছে, যখন অক্টোবরে অধিনায়ক পাওলো গুরেরো ডোপ টেস্টে পজিটিভ ধরা পড়ে এক বছরের জন্যে নিষিদ্ধ হন। পরবর্তীতে অবশ্য ফিফা তার শাস্তির মেয়াদ কমিয়ে আনে ছয় মাসে। অর্থাৎ মে থেকেই খেলতে পারতেন তিনি। কিন্তু তখনই বাধ সেঁধে বসে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি। তারা কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস (সিএএস)-কে অনুরোধ করে এ ৩৪ বছর বয়সী পেরুভিয়ানকে ১৪ মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয়ার জন্য। আর তাতেই খড়গ নেমে আসে গুরেরোর ওপর।

তবে পেরুর বিশ্বকাপ নায়কের এমন দুঃসময়ে তার পাশেই আছে গুরেরোর বিশ্বকাপের সতীর্থ, এমনকি প্রতিপক্ষরাও। বিশ্বকাপে পেরুর গ্রুপে পড়েছে ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া এবং ডেনমার্ক। আর এ তিন দলের অধিনায়ক স্পোর্টসম্যানশিপের অনন্য এক দৃষ্টান্ত রাখলেন পেরু অধিনায়কের পাশে দাঁড়িয়ে।

ফ্রান্স অধিনায়ক হুগো লরিস, ডেনমার্ক অধিনায়ক সাইমন কায়ের এবং অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক মাইল জেদিনাক ফিফার কাছে আবেদন করেছেন তার এ নিষেধাজ্ঞা যেন তুলে নেয়া হয়। তারা তিনজন ফিফার কাছে এক খোলাচিঠিতে লিখেছেন, ‘পেরু ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে ৩৬ বছর পর ফিরে এসেছে এবং আমরা বিশ্বাস করি পাওলো গুরেরোর এখানে দেশকে নেতৃত্ব দেয়া উচিত, যেটা হবে তার ক্যারিয়ারের অন্যতম অর্জন।’

প্রফেশনাল ফুটবলারস অস্ট্রেলিয়ার প্রধান বলেন, ‘আমরা সম্মানের সাথে ফিফাকে অনুরোধ করছি তার প্রতি যেন দয়া করা হয় এবং ক্ষমাশীলতার সাথে বিষয়টা দেখে নিষেধাজ্ঞাটা যেন সাময়িকভাবে তুলে নেয়া হয়।’

দলের অধিনায়কের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় তার সতীর্থদেরও। পেরুর ডিফেন্ডার লুইস আদভিঞ্চুলা বলেন, ‘ঈশ্বর সিদ্ধান্ত নিক যা হবার। যদি কোন সুযোগ থাকে আশা করার, তাহলে আমরা সেটি করছি। ঈশ্বরের কৃপায় যেন ফিফা সভাপতির সাথে তার বৈঠকটা ইতিবাচক হয়, যেন সে রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলতে পারে; যেটা পুরো পেরু চায়।’

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ফিফা সভাপতি জিওভান্নি ইনফান্তিনোর সঙ্গে গুরেরোর বৈঠক রয়েছে তার নিষেধাজ্ঞার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ব্যাপারে।

ডিকেটি/এমএমআর/জেআইএম

আরও পড়ুন