বিশ্বকাপে কি থাকছেন নয়্যার?
দীর্ঘদিন ধরেই জার্মান জাতীয় দলের গোলবার সামলাচ্ছেন ম্যানুয়েল নয়্যার। সাদা জার্সিধারীদের হয়ে খেলে ফেলেছেন চারটি টুর্ণামেন্টও এবং প্রতিটি টুর্ণামেন্টেই আস্থার সাথে সামলেছেন জাতীয় দলের গোলবার। গোলবারের নিচে বিশ্বস্ততার এ প্রতীক তার আক্রমণাত্মক গোলকিপিং এর জন্য কুড়িয়েছেন সমর্থকদের প্রশংসাও। ব্রাজিলে হয়ে যাওয়া ২০১৪ বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফর্মেন্সের জন্য তার হাতে উঠেছিলো টুর্ণামেন্টের সেরা গোলরক্ষকের পুরষ্কার গোল্ডেন গ্লাভসও। সেই সাথে জিতেছিলেন বিশ্বকাপ। এখন তাই আরেকটি বিশ্বকাপ সামনে রেখে দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে নির্ভারই থাকার কথা ছিলো তার। কিন্ত বাঁধ সেধেছে ইনজুরি। টানা দুইবার পায়ে মেটাটারসাল ফ্র্যাকচারে আক্রান্ত হওয়ায় মাঠের বাইরে আছেন সেই সেপ্টেম্বর থেকে।
জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০১৬ সালের নভেম্বরে। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে জার্মান এই গোলরক্ষকের কপালে। নিজের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে নয়্যার বলেন, ‘এটা খুবই স্বস্তির ব্যাপার যে এখন আমার পায়ে আর কিছু নেই। নয়তো ব্যাপারটা আমার ক্যারিয়ারকেই হুমকির মধ্যে ফেলে দিতো। তবে এখনো অনেক প্রশ্নবোধক চিহ্ন রয়েছে। আমাকে আমার বর্তমান পারফর্মেন্স নিয়ে খুশি থাকতে হবে এবং সেটাকে মেনে নিতে হবে। এতো দীর্ঘ বিরতির পর কি আমি আবার আমার আগের রূপে ফিরতে পারবো?’
সংশয়ের প্রশ্ন শোনা যায় ন্যয়ার এর কণ্ঠেই। অবশ্য স্বস্তির কথা হচ্ছে নয়্যার অনুশীলনে ফিরেছেন এবং তার বায়ার্নের হয়ে শেষ বুন্দেসলীগা ম্যাচেও নামার কথা ছিলো। তবে সর্বশেষ খবর অনুযায়ী নয়্যারকে ডিএফবি পোকালের ফাইনালের স্কোয়াডে রাখা হয়েছে। কিন্ত তা কি নয়্যারকে জার্মানির চূড়ান্ত স্কোয়াডে রাখার ব্যাপারে যথেষ্ট হবে? জার্মান কোচ ইয়োকিম লো অবশ্য ২৩ জনের স্কোয়াডে তার দলের অধিনায়ক ম্যানুয়েল নয়্যারকে রেখেছেন।
লোয়ের মতে, ‘ম্যানুয়েলকে নিয়ে আমার কিছু দায়িত্ব রয়েছে। সে ইতিমধ্যেই চারটি বড় টুর্ণামেন্ট খেলেছে এবং সে জানে এটার চাপ কীভাবে সামলাতে হয়। আমরা তাকে সময় দিয়েছি। আশা করি সে বিশ্বকাপ খেলতে পারবে।’
অবশ্য জার্মান কোচ নয়্যারের বিকল্পও প্রস্তুত রেখেছেন। বার্সা গোলরক্ষক টার স্টেগান বর্তমানে জার্মানদের দ্বিতীয় গোলরক্ষক। তিনি আস্থার সাথে জার্মানদের গোলবার গত কনফেডারেশনস কাপে সামলেছেন। বর্তমানে সেরা গোলরক্ষকদের একজনও তিনি। তাই ন্যয়ারের ব্যাপারে কোশলী শোনা গেলো লোর কণ্ঠ। ‘আমি ম্যানুয়েলের সাথে কথা বলেছি। আমরা ৪ই জুন সব পর্যবেক্ষণ করবো এবং দেখবো ম্যানুয়েল বিশ্বকাপ খেলার অবস্থায় আছে কিনা। সব দেখে তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেবো ম্যানুয়েল রাশিয়া যাচ্ছে কি যাচ্ছে না।’
আরআর/আরআইপি