কালিনিনগ্রাদ স্টেডিয়াম
রাশিয়ার ১১ শহরের যে ১২ টি ভেন্যু প্রস্তুত বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজনের জন্য- তার অন্যতম কালিনিনগ্রাদ স্টেডিয়াম। এক দিকে পোল্যান্ড অন্যদিকে লিথুনিয়া। সামনে বালটিক সমূদ্র। এর উপকূলেই রাশিয়ার প্রসিদ্ধ এলাকা কালিনিনগ্রাদে বিশ্বকাপের এই ভেন্যু, যার নাম কালিনিনগ্রাদ স্টেডিয়াম।
সৌন্দর্যের অপূর্ব সমারোহের পাশের এ স্টেডিয়ামটির অবশ্য দর্শক ধারণ ক্ষমতা অনেক কম। মাত্র ৩৫ হাজার। ছিল ৪৫হাজার; কিন্তু বিশ্বকাপের জন্য সংস্কার করতে কমে গেছে ১০ হাজার আসন। বিশ্বকাপ শেষে সেখানে আরেক দফা সংস্কার হবে। তখন এর আসন সংখ্যা নেমে আসতে পারে ২৫ হাজারে।
কালিনিনগ্রাদ স্টেডিয়ামটি মূলতঃ ২০১৮ বিশ্বকাপ ফুটবলকে সামনে রেখেই তৈরি করা হয়েছে। এর নির্মাণ কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছিল দুই বছর আগে, ২০১৬ সালে। এর চার বছর আগে দেশটির আঞ্চলিক সরকার উদ্যোগ নিয়েছিল এখানে স্টেডিয়াম নির্মাণের। ৭২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের এ স্টেডিয়াম প্রকল্পের অর্ধেক যোগান আসে ফেডারেল বাজেট থেকে, বাকি অর্ধেক আঞ্চলিক বাজেট থেকে।
এক সময় এ শহরটির নাম ছিল কলিংবার্গস। পরে নাম বদলে হয়েছে কালিনিনগ্রাদ। রাশিয়ার ঘরোয়া ফুটবলের দ্বিতীয় স্তরের ক্লাব এফকে বালটিকা কালিনিনগ্রাদের হোম ভেন্যু এই স্টেডিয়াম। এই তো গত এপ্রিলের ১১ তারিখে এ স্টেডিয়ামে হয়েছে পরীক্ষামূলক ম্যাচ। স্বাগতিক এফকে বালটিকা কালিনিনগ্রাদ ও ক্রিলা সোভিতভের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছিল স্টেডিয়ামের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী ম্যাচটি।
বিশ্বকাপ শেষে আরেক দফা সংস্কারে স্টেডিয়ামের কাঠামোয় বেশ পরিবর্তন আসবে। কেবল আসন সংখ্যাই কমবে না, সৌন্দর্য্যও বাড়বে আরো। এটি হবে দ্বিতল স্টেডিয়াম। রাশিয়ার অনেক স্টেডিয়ামের চেয়ে এখানে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। জার্মানির আলিয়াঞ্জ এরেনার আদলেই এ স্টেয়িামটি তৈরি হবে। স্টেডিয়ামটি পোল্যান্ড সীমান্ত থেকে ৪৫ কিলোমিটারের মধ্যে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোর কাছাকাছি দূরত্ব এ স্টেডিয়ামের। রাজধানী মস্কো থেকে কালিনিনগ্রাদের দূরত্ব প্রায় ১৩০০ কিলোমিটার।
বিশ্বকাপের খুব বেশি ম্যাচ হবে না এখানে।
তারিখ |
ম্যাচ |
রাউন্ড |
১৬ জুন |
ক্রোয়েশিয়া-নাইজেরিয়া |
গ্রুপ ‘ডি’ |
২২ জুন |
সার্বিয়া-সুইজারল্যান্ড |
গ্রুপ ‘ই’ |
২৫ জুন |
স্পেন-মরক্কো |
গ্রুপ ‘বি’ |
২৮ জুন |
ইংল্যান্ড-বেলজিয়াম |
গ্রুপ ‘জি’ |
আরআই/আইএইচএস/জেআইএম