আগামীতেও সাবিনা-কৃষ্ণাকে পেতে চায় ভারতীয় ক্লাব সেথু
সেথু এএফসির জার্সি গায়ে ইন্ডিয়া উইমেন্স লিগে খেলা বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও অনুর্ধ্ব-১৬ দলের অধিনায়ক কৃষ্ণা রানী সরকার ঢাকায় ফিরছেন শনিবার। সাবিনা খাতুন ও কৃষ্ণা রানী বাংলাদেশের নারী ফুটবলার হিসেবে প্রথম ভারতীয় ঘরোয়া টুর্নামেন্টে খেললেন। তাদের দল সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিলেও বাংলাদেশের দুই খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স ও আচরণে দারুণ সন্তুষ্ট সেথু ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
পারফরম্যান্স ও ডিসিপ্লিন দিয়ে ভারতীয় ঘরোয়া ফুটবলে আগামীর দরজাও খুলে আসছেন সাবিনা ও কৃষ্ণা। ইন্ডিয়া উইমেন্স লিগের পরের আসরেও সাবিনা ও কৃষ্ণাকে পেতে চাইছে তামিলনাড়ু ক্লাবটি। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের দুই অধিনায়ককে তারা সে প্রস্তাব দিয়েছে।
‘আগামীতে খেলার কথা তারা বলেছেন। তবে কবে হবে, কিভাবে খেলবো তা নিয়ে কথা হয়নি’-শিলং থেকে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন সাবিনা খাতুন।
সেথু এফসির সভাপতি সিনি মোহাইদীনও বাংলাদেশের এ দুই ফুটবলারকে আগামীতে দলভূক্ত করার ইচ্ছের কথা বলেছেন। ‘দুর্ভাগ্য আমরা ফাইনালে উঠতে পারিনি। কিন্তু আমাদের দল টুর্নামেন্টে দারুণ খেলেছে। সাবিনা ও কৃষ্ণা দুই জনই ভালো খেলোয়াড়। তাদের আচরণও খুব সুন্দর। আমরা তাদের উপর খুব সন্তুষ্ট। আশা করছি পরের আসরেও তারা আমাদের দলে খেলবেন’-বলছিলেন সেথু এফসির সভাপতি।
ইন্ডিয়া উইমেন্স লিগের পরের আসর অক্টোবরে শুরু হওয়ার কথা উল্লেখ করে সিনি মোহাইদীন বলেন, ‘সম্ভবত তখন দুই জন বিদেশি এক সঙ্গে খেলানো যাবে। যে কারণে আমরা সাবিনা ও কৃষ্ণা দুইজনকেই দলভূক্ত করতে চাই। অনুশীলনে দেখেছি তাদের বোঝাপড়া দারুণ। দুই জন এক সঙ্গে খেলতে পারলে সাবিনা আরো বেশি গোল করতে পারতো।’
এবারের লিগে সেথু এএফসিকে বলতে গেলে একাই সেমিফাইনাল পর্যন্ত তুলেছিলেন বাংলাদেশের গোলমেশিন সাবিনা খাতুন। ৭ ম্যাচে সেথু এফসি করেছে ১১ গোল। এর মধ্যে সাবিনা করেছেন ৬ টি। লিগ পর্বের চতুর্থ ও পঞ্চম ম্যাচে জোড়া গোল করে সাবিনা দলের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিলেন।
ম্যাচে একজন বিদেশি খেলানো যায় বলে কৃষ্ণার বেশি খেলা হয়নি। তিন ম্যাচে সাবিনার বদলি হিসেবে খেলেছেন বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৬ নারী দলের অধিনায়ক কৃষ্ণা রানী সরকার। এবারই প্রথম কোনো বিদেশি ঘরোয়া ফুটবলে খেললেন কৃষ্ণা।
সাবিনা খাতুন এর আগে মালদ্বীপের ঘরোয়া ফুটবলে অংশ নিয়ে গোল বন্যায় ভাসিয়েছিলেন প্রতিপক্ষকে। ভারতে খেলা প্রসঙ্গে জাতীয় নারী দলের অধিনায়ক বলেছেন, ‘ভারতীয় লিগ বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। এখানে খেলে নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি সব সময় মাঠে নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করি। এখানেও দিয়েছি। দলকে সেমিফাইনালে তুলতে অবদান রাখতে পেরেছিলাম। তাই আমি খুশি’-দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিতে নিতে বলছিলেন সাবিনা।
আরআই/এমএমআর/পিআর