সেই ‘ভুল’ করতে চান না বুফন
গত বছরের ফাইনালের কার্বন কপি এবারের কোয়ার্টার ফাইনাল। গতবার যে দুটি দল মুখোমুখি হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিহের ফাইনালে, এবার তারা মুখোমুখি হচ্ছে কোয়ার্টার ফাইনালেই। ফাইনাল থেকে আরও দুই ধাপ আগে। তুরিনে স্বাগতিক জুভেন্তাসের বিপক্ষে মাঠে নামছে সফরকারী রিয়াল মাদ্রিদ। তুরিনবাসী নানা হিসাব-নিকাশ করে বের করছে, এবার আর রিয়ালকে জয় নিয়ে যেতে দেবে না।
দুটি ঘটনা তো অন্তত তাদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়েই রয়েছে। যেমন, লুই ফিগোর পা থেকে একবার দুর্দান্ত সেভ করেছিলেন জিনেদিন জিদান। জিদান তখন খেলতেন জুভেন্টাসের হয়ে। পাভেল নেদভেদ একবার অসাধারণ গোল করেছিলেন ইকার ক্যাসিয়াসের বিরুদ্ধে। এ দুটো ঘটনা থেকে স্বপ্ন দেখছেন জুভেন্টাসের সমর্থকরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গতবারের ফাইনালের কার্বন কপি ম্যাচটায় রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে জেতার জন্য।
জুভদের কিংবদন্তি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফন রিয়ালের সঙ্গে খেলতে নামার আগে গত বছর ফাইনালে তাদের হারের পিছনে একটা ‘মারাত্মক ভুল’ ছিল বলে স্বীকার করেছেন। সেটা কি? বুফন মন্তব্য করেছেন, ‘গতবার ফাইনালের আগে আমরা মানসিকভাবে অনেক আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। ওই আত্মবিশ্বাসটা একটু বেশি হয়ে গিয়েছিল। সেটাই আমাদের হারের প্রধান কারণ।’
বুফন মেনে নিয়েছেন, ঐতিহাসিক দিক দিয়েই রিয়াল মাদ্রিদ তাদের তুলনায় অনেক এগিয়ে। ওই ম্যাচটায় তাদের বড় ধাক্কা হল, প্রথম একাদশের নামী ভরসা বেনাতিয়া এবং পানিচ খেলতে পারবে না। এ দু’জন নিষিদ্ধ। প্রশ্ন রয়েছে ফরোয়ার্ড মান্দজুকিচকে নিয়েও। জুভদের বিখ্যাত ‘বিবিসি’ এবার মৌসুমের শুরুতেই ভেঙে গেছে বোনুচ্চি চলে যাওয়ার কারণে।
প্রবীণ বার্জাগলিকে নামতে হবে কিয়েল্লিনির সঙ্গে। প্রশ্ন হল, জুভদের বিপক্ষে ৫ ম্যাচে ৭ গোল করা রোনালদোকে কি আটকাতে পারবেন জুভদের ডিফেন্ডাররা? বুফন তো এক সাক্ষাৎকারে বলেই দিয়েছেন, ‘আমাদের আসল জুভেন্তাস নামলে কিন্তু এখনও সব বড় দলগুলো ভয় পায়। রিয়াল, বার্সেলোনা, বায়ার্ন বা ম্যানচেস্টার সিটি- সবাই।’ জুভকে তাদের ভয় পাওয়ার অন্যতম কারণ, আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের যুগলবন্দি। দিবালা এবং ডগলাস কস্তা রয়েছেন দারুণ ফর্মে।
পুরনো শহর, পুরনো ক্লাবে ফিরে জিনেদিন জিদানের বড় চিন্তা হল- ইস্কোকে প্রথম একাদশে রাখবেন কি রাখবেন না। আবারও আসেনসিওকে নিয়েও চিন্তা। সঙ্গে রয়েছেন গ্যারেথ বেল। স্পেনের হয়ে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করার পরে ইসকো এখন শিরোনামে। তাকে প্রথম একাদশে রাখার জোরালো দাবি উঠেছে। যদিও জিদান তাকে খেলাবেন কি না, সেটা স্পষ্ট নয়।
আইএইচএস/এমএস