ইকার্দির ৪ গোলে উড়ে গেল সাম্পদোরিয়া
মৌসুমের শুরুতে ভালোই ছন্দে ছিলেন কিন্তু হঠাৎ করেই মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে খেই হারিয়ে ফেলেন মাউরো ইকার্দি। ইনজুরি-অফ ফর্মে আর্জেন্টিনার জাতীয় দল থেকেও বাদ পড়েন। কিন্তু আবারো যেন পুরনো ফর্ম ফিরে পেতে শুরু করেছেন এই স্ট্রাইকার। সাম্পদোরিয়ার বিপক্ষে ইন্টার মিলানের হয়ে একাই ৪ গোল করলেন। ইন্টারও পায় ৫-০ গোলের বড় জয়। অন্য গোলটি করেন পেরেসিচ।
সাম্পদোরিয়ার মাঠে তাদের বিপক্ষে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে ইন্টার মিলান। ইন্টারের হয়ে গোলের সূচনা করেন পেরেসিচ। ২৬ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ১-০ গোলে। তারপরের গল্পটা কেবল ইকার্দির। তার ১৪ মিনিটের তাণ্ডবলীলায় ধ্বংস হয়ে যায় সাম্পদোরিয়ার ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন।
৩০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোলের খাতা খুলেন এই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। এই গোলের সুবাদে ইন্টারের জার্সি শততম গোলের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। ১০০ গোলে পৌছাতে তার খেলতে হয়েছে ১৮০ ম্যাচ। ইতালিয়ান লিগে কম বয়সে একশো গোল করার তালিকাতেও ষষ্ঠ স্থানে রইলেন তিনি। এই গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো ইকার্দি ম্যাজিক।
ঠিক ১ মিনিট পরেই অসাধারণ এক ব্যাক হিলে গোল করে ৩১ মিনিটেই দলকে ৩-০ গোলে এগিয়ে দেন তিনি। তখনও ম্যাচের অনেক কিছু বাকি ছিল। রাফিনহার ব্যাক হিল গোলকিপার রুখে দিলেও ইকার্দি ফিরতি বল জালে জড়িয়ে ১৪ মিনিটেই ইতালিয়ান লিগে নিজের ষষ্ঠ হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি।
বিরতি থেকে ফিরে ৫০ মিনিটে নিজের চতুর্থ এবং দলের হয়ে ৫ম গোলটি করেন ইকার্দি। এই প্রথম এক ম্যাচে ৪ গোল করলেন তিনি। মাত্র ২২ মিনিটের ব্যবধানে গোল করলেন। ম্যাচের বাকিটা সময় আর কোন দলই গোল না পেলে ৫-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইন্টার। এর ফলে ২৮ ম্যাচে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগের চতুর্থ স্থানেই রইল দলটি। অথচ এক সময়ের লিগের শীর্ষে ছিল দলটি। ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে জুভেন্টাস।
আরআর/জেএইচ