ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

কলম্বিয়া বিশ্বকাপ জিতলেই চুল কেটে ফেলবেন ভালদেরামা!

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৯:৪৯ পিএম, ১০ মার্চ ২০১৮

কার্লোস ভালদেরামা। নামটি শুনলেই ফুটবলপ্রেমী সবার চোখে ভেসে উঠবে তার ঝাঁকড়া চুলের কথা। মাথাভর্তি ঝাঁকড়া চুল নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে এসে যারা বিখ্যাত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে কলম্বিয়ান এই ফুটবলারের নাম থাকবে সবার ওপরে। ভালদেরামার বৈশিষ্ট্য ছিল, মাথাভর্তি সাদা চুল। কোঁকড়ানো। তবে ঝাঁকড়া। অদ্ভূত এই চুল দিয়েই তিনি পরিচিতি পেয়েছিলেন বেশি।

শুধু চুলই নয়, অসাধারণ ড্রিবলিং এবং মিডফিল্ডে দারুণ বল নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতার কারণেও সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছিল তার নাম। বলতে গেলে কার্লোস ভালদেরামার জন্যই কলম্বিয়াকে চেনে পুরো ফুটবল বিশ্ব। সেই ভালদেরামার উত্তরসূরীরা কিন্তু এখন এতটা নাম ছড়াতে পারেননি বিশ্ব ফুটবলে। হামেস রদ্রিগেজ কিংবা রাদামেল ফ্যালকাওরা হয়তো কিছুটা পারিচিত পেয়েছেন। কিন্তু ভালদেরামার মত এতটা নয়।

সেই কার্লোস ভালদেরামার বিশ্বাস কিন্তু তার উত্তরসূরীদের ওপর। এখনও তিনি বিশ্বাস করেন, বিশ্বকাপ জেতার ক্ষমতা রাখেন তার দলের ফুটবলাররা। এমনকি তিনি ঘোষণাও দিয়ে ফেললেন, ‘কলম্বিয়া যদি রাশিয়া থেকে বিশ্বকাপ জয় করে ফিরতে পারে, তাহলে তিনি তার স্বাদের চুলগুলো ফেলে পুরোপুরি ন্যাড়া হয়ে যাবেন।’

১৯৮০ থেকে ১৯৯০ দশকে মাঠ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন ভালদেরামা। চুলের সৌন্দয্যের মতই ছিল তার খেলার স্টাইল। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডাররা ভালদেরামাকে জার্সি দেখে চিনতেন না, চিনতের তার চুল দেখে। খেলা ছেড়ে দেয়ার পরও তিনি তার চুলের সেই স্টাইল এখনও ধরে রেখেছেন। এই চুল তার খুবই প্রিয়। আর কিছু না হোক, বিশ্বব্যাপি তো তাকে চুলই খ্যাতি এনে দিয়েছে। অথচ, সেই স্বাদের চুলকেই কি না বিসর্জন দিতে প্রস্তুত। যদি রাশিয়া থেকে বিশ্বকাপ জিতে আসতে পারে কলম্বিয়ান ফুটবলাররা।

jagonews24

রাশিয়ান টুডেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারের সময় ভালদেরামাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কলম্বিয়া যদি বিশ্বকাপ জেতে তাহলে আপনি কী চুল ফেলে দেবেন? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘যদি আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হই, তাহলে অবশ্যই ফেলে দেবো এই চুল।’

ভালদেরামা বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমরা প্রায়ই বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারি না। এবার যখন (টানা দ্বিতীয়বার) আমরা বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করেই ফেলেছি, তাহলে বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগটাও নিতে পারি। আমরা যখন এতদুর পর্যন্ত আসতে পেরেছি, সুতরাং, আশা এবং স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকতে তো সমস্যা নেই।’

আইএইচএস/আরআইপি

আরও পড়ুন