ম্যাচ হারলো সানডেকেও হারালো আবাহনী
নিউ রেডিয়েন্টের জালে তিনবার বল পাঠালো আবাহনী। আবাহনীর জালে রেডিয়েন্ট পাঠালো একবার; কিন্তু ম্যাচ শেষে জয়ী দলটির নাম নিউ রেডিয়েন্ট। আবাহনীর দুইবারের লক্ষ্যভেদই ছিল অফসাইডে থেকে, একবার ছিল ফাউল। অতিথি দলটির স্ট্রাইকার আলি ফাসির লক্ষ্যভেদ ছিল দর্শনীয়। উমরের লংপাস ধরে একটু ভেতরে ঢুকেই বা পায়ের কোনাকুনি শটে করেন ম্যাচের একমাত্র গোলটি। ১-০ গোলে জিতে এএফসি কাপে শুভ সূচনা করলো মালদ্বীপ লিগের চ্যাম্পিয়ন দলটি।
আবাহনী কেবল ম্যাচই হারেনি, হারিয়েছে তাদের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার সানডে চিজোবাকে। ৬৫ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে সানডে মাঠ ছাড়লে বাকি সময় ১০জন নিয়ে খেলে আকাশী-হলুদরা।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘ই’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে যোগ্যতার দল হিসেবেই জিতেছে আলি আশফাকরা। জয়ের ব্যবধান আরো বড়ও হতে পারতো মালদ্বীপের দলটির; কিন্তু আবাহনীর গোলরক্ষক সোহেল রানা দুইবার এবং সাদ উদ্দিন ও নাইজেরিয়ান এলিসন একটি করে দুর্দান্ত সেভ না করলে ঘরের মাঠে আরো বিপর্যয়ই হতো সাইফুল বারী টিটুর দলের।
আবাহনী ও নিউ রেডিয়েন্টের আড়ালে বাংলাদেশ-মালদ্বীপের মর্যাদার লড়াইও ছিল এএফসি কাপের এ ম্যাচটি। কিন্তু এই অঞ্চলে এক সময়ের আন্ডারডক মালদ্বীপের ফুটবল যে অনেক এগিয়েছে তার আরেকটি উদাহরণ রেখে গেলো আশফাকদের দল। এই তো গত জানুয়ারিতে এই মাঠে বাংলাদেশের ক্লাব সাইফ স্পোর্টিংকে হারিয়েছিল মালদ্বীপেরই আরেক ক্লাব টিসি স্পোর্টস। যে ম্যাচটি ছিল এই টুর্নামেন্টেরই কোয়ালিফাইং প্রি-প্লেঅফের।
আরআই/আইএইচএস/এমএস