মেসি একাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন : সিমিওনে
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ কোচ দিয়েগো সিমিওনে স্বীকার না করলেও সম্ভবত কোনো ক্ষতি ছিল না। সারা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা দেখেছেন, বার্সা-অ্যাটলেটিকো ম্যাচে কে মূল পার্থক্যটা গড়ে দিয়েছেন! তবে প্রতিপক্ষ কোচ বলে কথা। দিয়েগো সিমিওনে যথার্থ সম্মানই দিলেন লিওনেল মেসিকে। স্বীকার করে নিলেন, এই ম্যাচে মূল পার্থক্যটাই গড়ে দিয়েছেন লিওনেল মেসি।
বার্সা-অ্যাটলেটিকো ম্যাচটি ছিল লা লিগায় নির্ধারণের অন্যতম নিয়ামক ম্যাচ। এই ম্যাচে বার্সার জয় মানেই এখনই লা লিগা নিশ্চিত হয়ে যাওয়া। অন্যদিকে অ্যাটলেটিকো জিততে পারলে, লা লিগায় দারুণ জমে উঠতো। কারণ, অ্যাটলেটিকোর জয় মানেই বার্সার সঙ্গে তাদের ব্যবধান কমে দাঁড়াতো ২ পয়েন্টে। আর বার্সার জয়ের কারণে, সেই ব্যবধান দাঁড়িয়েছে ৮ পয়েন্টে।
ন্যু ক্যাম্পে এসে একেবারে বাজে খেলেছে অ্যাটলেটিকো এমন নয়। শুরু থেকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খেলতে শুরু করে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। বার্সা এ সময় চেষ্টা করছিল, অ্যাটলেটিকো থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ টেনে নেয়ার; কিন্তু ২৬ মিনিটে অ্যাটলেটিকো ডি বক্সের সামনে ওই ফাউল এবং ফ্রি-কিকই অ্যাটলেটিকোর সব ভালো খেলাকে মাটি করে দিলো। ওই এক ফ্রি-কিকেই দুর্দান্ত গোলটি করে বসলেন মেসি।
দ্বিতীয়ার্ধেও অ্যাটলেটিকো চেষ্টা করেছিলো ম্যাচে ফিরে আসার। আরও দুই ফরোয়ার্ড অতিরিক্ত খেলিয়েও সাফল্য পেলেন না দিয়েগো সিমিওনে। কারণ, বার্সার রক্ষণে জেরার্ড পিকে ছিলেন যেন একজন মার্শাল। অনেক সমস্যা তৈরি করেছেন তিনি অ্যাটলেটিকো ফরোয়ার্ডদের সামনে।
টানা ২৭ সপ্তাহ নিরবচ্ছিন্নভাবে লা লিগায় খেলে যাচ্ছেন লিওনেল মেসি। সবচেয়ে বেশি গোল মেসির। সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট এবং গোল লক্ষ্যে সবচেয়ে বেশি শটও মেসির। এই পরিসংখ্যানই অন্যদের চেয়ে তাকে আলাদা করে দেয়।
দিয়েগো সিমিওনে বলেন, ‘মেসিই ম্যাচে মূল পার্থক্যটা গড়ে দিয়েছেন। মেসির জার্সিই যেন সবকিছু। যদি আমরা মেসির জার্সিটা নিয়ে আমাদের কাউকে পরিয়ে দিতাম, তাহলে দেখা যেতো আমরাই হয়তো ১-০ গোলে ম্যাচ জিতে নিয়েছি। মেসির প্রভাব এতটাই। যদি কোনো একটি দল এমন একজন সেরা খেলোয়াড় নিয়ে খেলতে নামে, তখন তাদেরকে হারানো সত্যিই কঠিন।’
সিমিওনে স্বীকার করে নিচ্ছেন, প্রথমার্ধে গোলরক্ষক জ্যান ও’ব্লাক ছিলেন দুর্দান্ত। মেসির ওই একটি শটছাড়া তো বার্সা তাকে পরাস্তই করতে পারেনি; কিন্তু মেসিই পেরেছেন কেবল স্কোর করতে এবং পার্থক্যটা গড়ে দিতে।’
আইএইচএস/জেআইএম