অ্যাটলেটিকোকে হারিয়ে শিরোপা প্রায় নিশ্চিত বার্সার
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কোচ দিয়েগো সিমিওনের বিপক্ষে রেকর্ড অক্ষুন্ন রাখলো বার্সেলোনা। মাদ্রিদের দলটির দায়িত্ব নেয়ার পর এখনও পর্যন্ত বার্সার বিপক্ষে কোনো ম্যাচ জিততে পারেননি সিমিওনে। এবারও পারলেন না। এই ম্যাচটি তো ছিল বার্সার হোম ভেন্যু ন্যু ক্যাম্পে। সুতরাং, পরিস্কার ফেবারিট বার্সা। তবুও সাম্প্রতিক ফর্মের ওপর ভরসা করে মেসিদের ডেরায় গিয়েছিলেন সিমিওনে-গ্রিজম্যানরা; কিন্তু লাভ কিছুই হলো না। বরং, লিওনেল মেসির দুর্দান্ত এক ফ্রি-কিকের গোলে ১-০ ব্যবধানে হারতেই হলো অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে।
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিরুদ্ধে আগের ১৫ সাক্ষাতে একবারও হারেনি বার্সেলোনা। এবার নিয়ে টানা ১৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকলো কাতালানরা। একই সঙ্গে লা লিগায় গোল করার জন্য সেভিয়ার (২৯ গোল) পরেই লিওনেল মেসির যে দ্বিতীয় পছন্দ অ্যাটলেটিকো ডি মাদ্রিদ, সেটা আবারও প্রমাণ হলো। এই ম্যাচের গোল নিয়ে অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে মোট ২৮ গোল করলেন মেসি।
সে সঙ্গে, দারুণ এক মাইলফলকও স্পর্শ করলেন বার্সার আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। এই একটি গোল নিয়ে ক্যারিয়ারে মোচ ৬০০তম গোলের দেখা পেয়ে গেলেন তিনি। জাতীয় দল এবং ক্লাব মিলিয়ে সর্বমোট ৬০০ গোল করলেন লিও মেসি। এর মধ্যে ৫৩৯টি করেছেন তিনি বার্সার হয়ে এবং ৬১টি করেছেন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে।
ন্যু ক্যাম্পে ম্যাচটি ছিল আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে পরিপূর্ণ। তবে লিওনেল মেসি ছিলেন নিজের মতই দুর্দান্ত। তার একের পর এক আক্রমণ ঠেকাতেই ব্যস্ত থাকতে হয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের রক্ষণভাগকে। ম্যাচের ২৬ মিনিটের সময়ই দুর্দান্ত এক ফ্রি-কিক থেকে গোল করে বার্সাকে এগিয়ে দেন মেসি। এই এক গোলই শেষ পর্যন্ত বার্সার জয় নিশ্চিত করে দেয়।
লিওনেল মেসিকে ডি বক্সের সামনেই ফাউল করেন অ্যাটলেটিকোর থমাস পার্টি। ফ্রি কিকের বাঁশি বাজান রেফারি। মেসির সামনে ছিল মানব দেয়াল। মানব দেয়ালের পেছনেই পরীক্ষিত গোলরক্ষক জ্যান ও’ব্ল্যাক। কিন্তু মেসির বাঁ-পায়ের শট মানব দেয়ালের মাথার ওপর দিয়ে গিয়ে ডান কোন বরাবর জড়িয়ে যায় অ্যাটলেটিকোর জালে। জ্যান ও’ব্ল্যাক ঝাঁপিয়ে পড়ে হাতের ছোঁয়া লাগিয়েছিলেন বটে; কিন্তু গোল ঠেকাতে সক্ষম হননি।
এই জয়ের ফলে ২৭ ম্যাচে বার্সার পয়েন্ট দাঁড়াল ৬৯। সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্ট পিছিয়ে গেলো দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। তাদের পয়েন্ট ৬১। একই ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ৫৪।
আইএইচএস/এমবিআর