আশফাক দেখলেন তিনি এখনো ঢাকায় জনপ্রিয়
আলী আশফাকের বয়স ৩২। এর মধ্যে মালদ্বীপের সর্বকালের সেরা এ ফুটবলারের খেলোয়াড়ি জীবনই ১৭ বছরের। কেবল মালদ্বীপেরই নয়, এ অঞ্চলের ফুটবলের অন্যতম বিজ্ঞাপন দ্বীপ দেশটির এ ফরোয়ার্ড। বয়স তাকে হার মানাতে পারেনি-দিব্যি খেলে যাচ্ছেন। আবাহনীর বিরুদ্ধে এএফসি কাপ খেলতে মালদ্বীপের ক্লাব নিউ রেডিয়েন্টের হয়ে রোববার ঢাকায় এসেছেন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সবচেয়ে বেশি গোলের (২০) রেকর্ডধারী আশফাক। দুপুরে ঢাকা এসে বিকেলেই দলটি অনুশীলন করেন বাফুফে ভবন সংলগ্ন টার্ফে।
নিউ রেডিয়েন্ট স্পোর্টস ক্লাব যখন টার্ফে গা গরম করছিল তখন অনেক উৎসুক দর্শক গলা বাড়িয়ে দেখছিল তাদের অনুশীলন। ‘ওটাই তো আশফাক। ওই যে ৭ নম্বর জার্সি গায়ে’- টার্ফের পাশের ফটকে গাদাগাদি করে দাঁড়ানো দর্শকদের মধ্যে থেকে বলে উঠলেন একজন। যদিও আশফাককে প্রথম দর্শনে চেনা মুশকিলই, মুখভর্তি দাঁড়ি। ২০১০ এর পর ঢাকায় এসেছেন। ৮ বছর আগের আশফাকের সঙ্গে এই আশফাককে মেলালো দুষ্করই।
চেহারায় বড় ধরণের পরিবর্তন হলেও মাঠে যেন সেই আশফাকই। টার্ফে রার্নিং আর স্ট্রেচিং করলেন সতীর্থদের নিয়ে। এখনো পুরো ফিট। বাফুফের মাধ্যমে দলের এক কর্মকর্তা মিডিয়াকে জানিয়ে দিয়েছিলেন- কেউ কথা বলবেন না। মিডিয়ার আগ্রহ ছিল শুধু আশফাক আলীকে ঘিরেই। তারপরও তাদের অনুশীলন শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন অনেক মিডিয়াকর্মী। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে দলের কেউ কথা বলেননি।
কিন্তু আশফাক আলীর তো বাংলাদেশের মিডিয়ার অনেককেই চেনা। অনুশীলন করে বেড়িয়ে যাওয়ার সময় সে সুযোগই নেয়া হলো। কিছুক্ষণ আগে মিডিয়া থেকে দূরে দূরে থাকা আশফাকের কূশল বিনিময়ের পরই বন্ধুর মতো আচরণ। টার্ফ থেকে হেঁটে হেঁটে বাফুফে ভবনের সামনের প্রধান সড়কে যাওয়ার সময় অনেকেই আশফাকের সঙ্গে হাই-হ্যালো করেছেন। তখন আশফাকের পেছনে পেছনে হাঁটছিল বেশ কয়েকজন দর্শক। আশফাক বুঝলেন তিনি এখনো অনেক জনপ্রিয় ঢাকায়।
বাংলাদেশের কোনো ক্লাবে না খেলেও এখানকার দর্শকদের কাছে আশফাক জনপ্রিয় একাধিকবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ঢাকায় খেলে যাওয়ায়। কারিশমা দিয়েই তিনি এখানে জনপ্রিয়। আপনার কিন্তু অনেক ভক্ত আছে এখানে- বলতেই আশফাকের মুখ থেকে বেড়িয়ে এলো একটি শব্দ ‘আই নো।’
বুধবার যাদের বিরুদ্ধে এএফসি কাপের ম্যাচ খেলবে নিউ রেডিয়েন্ট ক্লাব সেই আবাহনীর কোনো খেলোয়াড়কে চেনেন না বলে জানালেন আশফাক। তবে বাংলাদেশের কয়েকজন ফুটবলারের নাম তার এখনো মনে আছে। যাদের মধ্যে আতিকুর রহমান মিশুর নামটিই বললেন প্রথম।
দলের কী অবস্থা? জানতে চাইলেন হেসে দিয়ে আশফাক বললেন ‘আমিতো বুড়ো হয়ে গেছি। আমাদের দলে অনেক ইয়ং প্লেয়ার আছে যারা ভালো খেলে। তাদের সঙ্গে কথা বলো।’ জাতীয় দল কিংবা ক্লাব-আশফাকের গায়ে দেখা যায় ৭ নম্বর জার্সি। ৭ নম্বর কি আপনার প্রিয়? এটাই পড়ে আসছেন সব সময়? ‘এই নম্বরের জার্সিটা আমার প্রিয়। ফেভারিটও মনে করি। এর আগে মাজিয়ায় ১২ নম্বর জার্সি পড়েছিলাম’-বলেন আশফাক।
আরআই/এমআর/আরআইপি