আট মাস পর জাতীয় দল পেলেন ওর্ড
গত বছর জুনে জাতীয় ফুটবল দলের প্রধান কোচ হিসেবে অ্যান্ড্রু ওর্ডকে নিয়োগ দিয়েছে বাফুফে। কিন্তু জাতীয় দল নিয়ে কাজ করার সুযোগ হয়নি এ অস্ট্রেলিয়ানের। হবে কী করে? ২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর ভুটানের কাছে হারের পর জাতীয় দলের কোনো কার্যক্রমই তো ছিল না বাংলাদেশের। নিয়োগ পাওয়ার পর বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দল নিয়েই কাজ করেছেন তিনি। এ নিয়ে তার বেজায় আফসোসও ছিল। অবশেষে জাতীয় দলের কোচের অপেক্ষার অবসান হয়েছে। আট মাস পর ওর্ড পেয়েছেন জাতীয় দলের কাজ।
মঙ্গলবার ২৪ ফুটবলার নিয়ে বিকেএসপি চলে গেছেন ওর্ড। দীর্ঘ মেয়াদী অনুশীলনের জন্য তিনি প্রাথমিকভাবে ক্যাম্পে ডেকেছেন ৩৫ ফুটবলারকে। এর মধ্যে ৯ জন ক্যাম্পে যোগ দেবেন এক সপ্তাহ পর। স্বাধীনতা কাপের ফাইনাল খেলা আরামবাগ ও চট্টগ্রাম আবাহনীর এই ফুটবলারদের বিশ্রাম দেয়া হয়েছে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
মঙ্গলবার রিপোর্ট করার কথা ছিল ২৬ জনের। করেছেনও। তবে ডিফেন্ডার ইয়াসিন খান ও মিডফিল্ডার জুয়েল রানা রিপোর্ট করলেও ক্যাম্পে যোগ দেননি। চোট পাওয়া এ দুইজনকে ছুটি দেয়া হয়েছে।
জামাল ভুঁইয়া ডেনমার্ক থেকে বিকেলেই ঢাকা ফিরেছেন। তবে রিপোর্ট করতে বাফুফে ভবনে আসেননি জামাল। বিমান বন্দর থেকেই ফোনে কোচকে জানিয়ে চলে গেছেন সরাসরি বিকেএসপিতে। বাকি ২৩ ফুটবলার নিয়ে বিকেএসপি গেছেন ওর্ড ও তার সহকারী মাহবুব হোসেন রক্সি।
ক্যাম্পে যোগ হবেন আরো কিছু ফুটবলার। তাদের নেয়া হবে আবাহনী থেকে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন দলটি এখন প্রস্তুতি নিচ্ছে এএফসি কাপের। তাই প্রাথমিক ক্যাম্পে আকাশী-হলুদদের কোনো খেলোয়াড় ডাকেননি কোচ।
দীর্ঘ দিন পর লাল-সবুজদের নতুন করে শুরু। নতুনের প্রভাব দলেও। যে ৩৫ জনকে প্রথম দফায় ডেকেছেন ওর্ড তাদের মধ্যে ১৭ জন একেবারেই নতুন। ভবিষ্যত জাতীয় দলের কথা মাথায় রেখেই তরুণদের নামের পাশে মোটা দাগ দিয়েছেন কোচ।
১০ ফেব্রুয়ারি স্বাধীনতা কাপের ফাইনালের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে ঘরোয়া মৌসুম। ফেডারেশন কাপ, প্রিমিয়ার লিগ এবং স্বাধীনতা কাপ ছাড়াও অনেকে খেলেছেন বয়স ভিত্তিক জাতীয় দলে। তাই অনেক খেলোয়াড়ের মুখ থেকেই বেড়িয়ে এসেছে ক্লান্তির কথা।
এ প্রসঙ্গে প্রধান কোচ অ্যান্ড্র ওর্ড বলেছেন, ‘এ পর্যায়ের ফুটবলে এটা কোনো অজুহাত নয়। আমাদের এখনই কাজ দেখানোর সময়। আমি কোনো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি না। চার-পাঁচ মাস ধরে আমরা এ পরিকল্পনা তৈরি করেছি। সভাপতি নিজেও বলেছেন, অজুহাত দেখানোর দিন শেষ। একটি ম্যাচ দিয়ে ভালো অবস্থায় চলে আসতে পারব না। আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে, ধৈর্য্য ধরতে হবে।’
ওর্ডের প্রথম তালিকার ফুটবলাররা হলেন
গোলরক্ষক : মাহফুজ হাসান প্রীতম, মিতুল হোসেন, আনিসুর রহমান জিকু, আশরাফুল ইসলাম রানা।
রক্ষণভাগ : মো. জাহিদ, মনজুর রহমান মানিক, সাদ্দাম হোসেন অ্যানি, উত্তম কুমার বণিক, বিশ্বনাথ ঘোষ, তপু বর্মণ, রহমত মিয়া, নুরুল নাইয়ুম ফয়সাল, সুশান্ত ত্রিপুরা।
মধ্যমাঠ : পাশবন মোল্লা, মামুনুল ইসলাম মামুন, ফয়সাল মাহমুদ, জাবেদ খান, আলী হোসেন, ফজলে রাব্বি, জামাল ভূঁইয়া, হেমন্তু ভিনসেন্ট বিশ্বাস, মো. ইব্রাহিম, মো. স্বাধীন, রহিম উদ্দিন, জাহিদ হোসেন, মাসুক মিয়া জনি, আবদুল্লাহ।
আক্রমনভাগ : তকলিস আহমেদ, বিপলু আহমেদ, মতিন মিয়া, আবু সুফিয়ান সুফিল, জাফর ইকবাল এবং তৌহিদুল আলম সবুজ।
আরআই/এমএমআর/আইআই