নিজেদেরই ফেভারিট বলছেন আরামবাগের কোচ
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে অবনমনের শঙ্কায় ছিল আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। শেষ পর্যন্ত লিগ শেষ করেছে তারা ১২ দলের মধ্যে অষ্টম হয়ে। সেই দলটিই এখন মৌসুমের শেষ টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপের শিরোপা জয়ের অন্যতম দাবিদার। শনিবার ফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারাতে পারলে ক্লাবটির ইতিহাসে ঘরোয়া ফুটবলে প্রথম বড় কোনো ট্রফি জয়ের গল্প লিপিবদ্ধ হবে।
দল হিসেবে আরামাগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী চট্টগ্রাম আবাহনী। তবে স্বাধীনতা কাপ শুধু স্থানীয়দের নিয়ে হওয়ায় সেই শক্তির তফাতটা এখন বেশি নেই। আরামবাগের ফাইনালে ওঠাটাই তার প্রমাণ। আবাহনী, শেখ জামালকে বিদায় করে ফাইনালমঞ্চে দাঁড়ানোর পর দলটির কোচ মারুফুল হক নিজেদেরই ভাবছেন ফেভারিট। ফাইনাল পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার দেশের এই অভিজ্ঞ কোচ বলেছেন, ‘যদি ৭ দিন আগে এ প্রশ্ন করতেন, তাহলে চট্টগ্রাম আবাহনীকেই ফেভারিট বলতাম। কিন্তু এখন বলছি-আমরাই ফেভারিট।’
নিজেদের ফেভারিট ভাবার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন মারুফুল হক। তিনি বলেন, ‘আমি একটা তারুণ্য নির্ভর দল নিয়েছিলাম। সেটা ছিল আমার জন্য চ্যালেঞ্জ, কারণ আমার দলটি অনভিজ্ঞ। এ দলটিকে তৈরি করতে সময় লেগেছে। লিগের দ্বিতীয় পর্বে আমরা ভালো করেছি, শেষ ১১ ম্যাচ থেকে পেয়েছি ১৪ পয়েন্ট। ধীরে ধীরে সে উন্নতির সুফলটা আমরা পাচ্ছি স্বাধীনতা কাপে।’
প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম আবাহনীকে শক্তিশালী উল্লেখ করে মারুফুল হক বলেছেন, ‘দলটি অনেক শক্তিশালী। জাতীয় দলের অনেক খেলোয়াড় আছেন সেখানে। তারপরও আমার আত্মবিশ্বাস তাদের হারিয়ে আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারবো।’
চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু এক সময় খেলেছেন মারুফুল হকের অধীনে। তাহলে লড়াইটা গুরু-শিষ্যেরও তো তাই না? এমন প্রশ্নের জবাবে মারুফুল বলেন, ‘এখানো গুরু-শিষ্যের লড়াইয়ের কোনো বিষয় না। সে এক দলের প্রধান কোচ, আমি এক দলের প্রধান কোচ। যে যার মতো করেই দল পরিচালনা করবেন।’
আরামবাগের অধিনায়ক আবু সুফিয়ান সুফিল বলেছেন, ‘আমাদের ফাইনালে ওঠাটা কোনো চমক নয়। পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাস দিয়ে আমরা এ পর্যন্ত এসেছি। এখন আমাদের সামনে একটি ম্যাচ। জিততে আমরা সর্বশক্তি দিয়ে খেলবো। এ ম্যাচে অনেক দর্শক আসবে। সেটা আমাদের জন্য কোনো চাপ হবে না। বরং দর্শক উপস্থিতি আমরা অনুপ্রেরণা হিসেবেই নেবো।’
আরআই/এমএমআর/আইআই