ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

শেখ জামালকে হারিয়ে ফাইনালে আরামবাগ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৭:৪২ পিএম, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

ম্যাচের পরপর ফ্লাডলাইট নিভে গেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নেমে আসে আঁধার। তবে মাঠের পাশে একটি মুখ ঘিরে ছিল মিডিয়ার সব আলো। সে আলোয় দূর থেকেই উজ্জ্বল লাগছিল মারুফুল হকের মুখ।

আবাহনীর পর শেখ জামালকে বধ করে প্রথমবারের মতো স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের ফাইনালে উঠেছে দেশের অভিজ্ঞ এ কোচের দল আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। ম্যাচে আরামবাগ জিতেছে ১-০ ব্যবধানে। গোলদাতা মো. জুয়েল। ৮৯ মিনিটে গোল করেন এ তরুণ ফরোয়ার্ড।

কোয়ার্টার ফাইনালে প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন আবাহনীকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল আরামবাগ। সেমিফাইনালে প্রিমিয়ার লিগ রানার্সআপ শেখ জামালের বিপক্ষেও বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারতো তারা।

আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা আরামবাগের খেলোয়াড়রা প্রাধান্য নিয়ে খেলেই ম্যাচ জিতেছে। যদিও গোলের জন্য শেষ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে তাদের। মারুফুল হকের শিষ্যরা সহজ সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে এবং জামালের গোলরক্ষক বেশ কয়েটি দুর্দান্ত সেভ না করলে জয়ের ব্যবধানটা বড়ই হতো আরামবাগের।

আরামবাগ এগিয়ে যাওয়ার আগে-পরে দুটি সহজ সুযোগ এসেছিল শেখ জামালের। দুটি আক্রমণই ছিল জাভেদ খানের। আরামবাগের এগিয়ে যাওয়ার আগের মিনিটে ডান দিক দিয়ে ঢুকে গোলমুখে শট নিয়েছিলেন জাভেদ। আরামবাগের এক ডিফেন্ডার কর্ণারের মাধ্যমে জামালকে গোলবঞ্চিত করেন।

পরের মিনিটেই গোল হজম শেখ রাসেলের। পাল্টা আক্রমণ থেকে সুফিল বল পেয়ে কাটব্যাক করলে বল পান বাপ্পি। তিনি বলটি বাড়িয়ে দেন মো. জুয়েলকে। কোনো ভুল করেননি জুয়েল, জামালের জাল কাঁপিয়ে মেতে উঠেন গোলের আনন্দে।

পরের মিনিটেই ম্যাচে ফিরতে পারতো শেখ জামাল। সংঘবদ্ধ একটি আক্রমণ থেকে ছোট বক্সে বল পেয়েছিলেন জাভেদ খান। তখন তার সামনে ছিলেন শুধুই গোলরক্ষক। মনে হয়েছিল শেখ জামাল ম্যাচটি টেনে নিতে পারবে অতিরিক্ত সময়ে। কিন্তু জাভেদ গোলরক্ষককে জড়িয়ে শট নিলে ম্যাচে ফেরার সহজ সুযোগ নষ্ট হয় শেখ জামালের। ম্যাচসেরা হয়েছেন আরামবাগের অধিনায়ক সুফিল।

মঙ্গলবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম আবাহনী ও রহমতগঞ্জ। ফাইনালে কারা হচ্ছে আরামবাগের প্রতিপক্ষ তা নির্ধারণ করবে এ ম্যাচের ফল। মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্ট ফেডারেশন কাপের ফাইনালে উঠে আবাহনীর কাছে হেরেছিল আরামবাগ। শেষ টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপের ফাইনালেও উঠলো তারা।

আরআই/এমএমআর/আরআইপি

আরও পড়ুন