কোয়ার্টার ফাইনালে শেখ রাসেল
প্রথম ম্যাচ জিতে স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছিল আবাহনী। শুক্রবার গ্রুপের অন্য ম্যাচে শেখ রাসেল ২-১ গোলে জিতে শেষ আটে নাম লেখালে আবাহনীর নকআউট পর্বও নিশ্চিত হয়। ‘সি’ গ্রুপের এ দুই দল কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট পাওয়ায় গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিলো বিজেএমসি। কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করা আবাহনী ও শেখ রাসেল মুখোমুখি হবে গ্রুপের শেষ ম্যাচে। সে লড়াইটা শুধু গ্রুপসেরা হওয়ার। প্রথম ম্যাচে আবাহনী ২-০ গোলে হারিয়েছিল বিজেএমসিকে।
বিজেএমসিকে হারিয়ে শেখ রাসেলকে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠকে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। প্রথমার্ধের গোলশূন্য লড়াইয়ের পর দ্বিতীয়ার্ধে উভয় দলই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। শেখ রাসেল বারবার প্রতিপক্ষে বক্সে হানা দিয়েই গোল বের করতে পারছিল না। তাদের আক্রমণগুলো কখনো ফিরিয়ে দিচ্ছিল বিজেএমসির রক্ষণভাগ, কখনো তাদের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায় গোলপোস্ট। একের পর এক আক্রমন নিস্ফলা হওয়ায় ক্রমেই মোটা হচ্ছিল রাসেলের কোচ সফিকুল ইসলাম মানিকের কপালের চিন্তার ভাঁজ। ৮০ মিনিটে তাকে স্বস্তি দেন মেহবুব হাসান নয়ন। তিনি বা পায়ের বাঁকানো শটে এগিয়ে দেন দলকে।
তবে এগিয়ে থাকাটা বেশি সময় ধরে রাখতে পারেনি রাসেল। ৭ মিনিট পরই ম্যাচে ফেরে বিজেএমসি। পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা আনেন রবিন। ইনজুরি সময়ে খালেকুজ্জামান সবুজ গোল করেন ২-১ নাটকীয় জয় এনে দেন শেখ রাসেলকে। ম্যাচ শেষে শেখ রাসেলের কোচ সফিকুল ইসলাম মানিক বলেন,‘কিছুতেই গোল হচ্ছিল না। মনে হয়েছিল কুফায় ধরেছে। তারপরও জিতেছি, কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য সেমিফাইনালে ওঠা।’
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে রহমতগঞ্জের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে মোহামেডান। তারা প্রথম ম্যাচ ড্র করেছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের সঙ্গে। শেখ জামাল ও রহমতগঞ্জের ম্যাচের ফলাফলের উপর নির্ভর করছে এই গ্রুপ থেকে কোন দুই দল যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। শেখ জামাল জিতলে তাদের সঙ্গী হবে মোহামেডান। ম্যাচ ড্র হলে গোল পার্থক্যে এগিয়ে থাকা দুই দল খেলবে শেষ আটে।
আরআই/আইএইচএস/পিআর