লক্ষ্য এবার মেয়েদের সিনিয়র সাফের ট্রফি
ভারতকে হারিয়ে প্রথম সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফিটি জিতে আরেকটি বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পড়লো বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৫ সালে সিলেটে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশের কিশোররা। সেই ফাইনালেও বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত।
ছেলে, মেয়ে ও বয়সভিত্তিক মিলিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে এটি বাংলাদেশের পঞ্চম সাফল্য। এর মধ্যে তিনটি সাফের বিভিন্ন টুর্নামেন্টর এবং দুটি সাউথ এশিয়ান গেমসের।
১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো জিতেছিল এসএ গেমসের স্বর্ণ। ২০০৩ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। আর ২০১০ সালে ঢাকা এসএ গেমস ফুটবলে স্বর্ণ জিতেছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
গত জানুয়ারিতে ভারতের সিলিগুঁড়িতে অনুষ্ঠিত মেয়েদের সিনিয়র সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবারের মতো ফাইনালে খেলে বাংলাদেশ। এখন চোখ ওই সিনিয়র সাফেই। আগামী বছর মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ হবে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এ টুর্নামেন্ট আয়োজনের চিন্তা করছে বলে জানিয়েছেন বাফুফের মহিলা উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ।
রোববার ভারতকে হারিয়ে কিশোরীদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাংলাদেশ দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেছেন, ‘আগামী বছর অনুষ্ঠিত হবে সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ নারী চ্যাম্পিয়শিপ। আমরা সামনের ওই টুর্নামেন্টকে লক্ষ্য করেই এখন থেকে কাজ শুরু করবো। এক সময় মেয়েদের টুর্নামেন্টে খেলতে নামলে আতঙ্কে থাকতাম, কয়টা গোল খাবো। এখন আমাদের মেয়েরা অনেক ভালো ফুটবল খেলে। আমরা এ অঞ্চলের মেয়েদের প্রতিটি টুর্নামেন্টেই শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে খেলবো।’
নতুন বছরে মেয়েদের বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্ট আছে। মে মাসে থাইল্যান্ডে হবে সিনিয়র মেয়েদের ফুটসাল। এখানে অংশ নেবে বাংলাদেশ। সেপ্টেম্বরে হবে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপ এবং অক্টোবরে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ। তবে এখনো ভেন্যু ঠিক হয়নি এএফসির এ দুটি টুর্নামেন্টের।
সময় ও ভেন্যু চূড়ান্ত হয়নি সাফের তিন টুর্নামেন্টেরও। সাফ অনূর্ধ্ব-১৫, সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ এবং সাফ চ্যাম্পিয়ন অনুষ্ঠিত হবে ২০১৮ সালেই। এর মধ্যে মেয়েদের সিনিয়র সাফ চ্যাম্পিয়নশিপটা আয়োজন করতে চায় বাংলাদেশ।
আরআই/এমএমআর/আরআইপি