বড় জয়ে রিয়ালের সঙ্গে ব্যবধান বাড়াল বার্সা
ভাগ্য সহায় ছিল না মেসির। তিনটি প্রচেষ্টা ফিরে পোস্টে লেগে। স্পট কিকেও পাননি জালের দেখা। এরপরও লুইস সুয়ারেজ ও পাওলিনহোর জোড়া গোলে দেপোর্তিভো লা করুনাকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে ভালভারদের শিষ্যরা।
ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে ম্যাচ শুরুর আগে ২০১৬-১৭ মৌসুমে লিগের সর্বোচ্চ গোলের পুরস্কার গোল্ডেন সু দর্শকদের সামনে তুলে ধরেন মেসি। খেলা শুরুর তৃতীয় মিনিটেই গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি। তবে ইনিয়েস্তার পাস থেকে গোল করার মতো পজিশনে পেয়ে উড়িয়ে মারেন আর্জেন্টাইন তারকা।
ম্যাচের ২৬ মিনিটে মেসির জোরালো কোনাকুনি শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। তিন মিনিট পর সুয়ারেজের গোলে লিড পায় স্বাগতিকরা। মেসি বাড়ানো বল ফাঁকায় পেয়ে অনায়াসে বল জালে পাঠান উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার।
ম্যাচের ৩৭ মিনিটে গোল বঞ্চিত হয় মেসি। তার নেওয়া শট লাগে পোস্টে। চার মিনিট পর এক জনকে কাটিয়ে তার নেওয়া দুর্দান্ত আরেকটি শট পোস্টে বাধা পায়। তবে এ যাত্রায় ফিরতি বল পেয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পাওলিনহো।
বিরতি থেকে ফিরে নিজের দ্বিতীয় গোল করে সুয়ারেজ। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে সার্জিও রবের্তোর দারুণ পাসে ব্যবধান আরও বাড়ান উরুগুয়ের এই স্টাইকার।
সুয়ারেজ জোড়া গোলের দেখা পেলেও দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়েনি মেসির। ম্যাচের ৬৭ মিনিটে মেসির নেওয়া চমৎকার ফ্রি-কিক আবারও পোস্টে লাগে। দুই মিনিট পর ডি-বক্সে সুয়ারেজ ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। কিন্তু আর্জেন্টিনা অধিনায়কের স্পট কিক ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন শুরু থেকে দুর্দান্ত খেলা অতিথি গোলরক্ষক।
ম্যাচের ৭৫ মিনিটে লিড বাড়িয়ে দেয় পাওলিনহো। জর্দি আলভার শট পোস্টে বাধা পেলে ফিরতি বল জালে জড়ান ব্রাজিলিয়ান এই মিডফিল্ডার।
এ জয়ে এল ক্লাসিকোতে রিয়ালের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে দলটির সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান বাড়িয়ে নিল বার্সেলোনা। ১৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৪২। আর এক ম্যাচ কম খেলা রিয়ালের ৩১।
এমআর/জেআইএম