নেইমারের দুর্দান্ত পারফর্মেন্সে নকআউট পর্বে পিএসজি
নিষেধাজ্ঞার কারণে আগের ম্যাচে লি ওয়ানে নিসের বিপক্ষে ছিলেন মাঠের বাইরে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আন্ডারলেখটের বিপক্ষে ফিরেই জ্বলে উঠলেন। তার দুর্দান্ত পারফর্মেন্সের সঙ্গে কুরজাওয়ার হ্যাটট্রিকে ৫-০ গোলের বড় জয় পেয়েছে পিএসজি। আর এ জয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে উনাই এমেরির দল।
প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের জন্য আক্রমণ চালিয়ে খেলতে থাকে পিএসজি। শুরুতেই গোলের সুযোগ পেয়েছিল দলটি। কাভানির বাড়ানো বলে ডি-বক্স থেকে নেইমারের শট ফিতিয়ে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক। ম্যাচের ১৮ মিনিটে নেইমারের ফ্লিক থেকে এমবাপের শটও ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক।
অবশেষে ম্যাচের ৩০ মিনিটে গোলের দেখা পায় পিএসজি। নেইমারের কাটব্যাক থেকে এমবাপের বাড়ানো বল ডি-বক্সে পেয়ে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে জালে পাঠান ইতালিয়ান মিডফিল্ডার ভেরাত্তি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দুর্দান্ত গোলে ব্যবধান দিগুণ করেন নেইমার। কর্নার থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে থেকে জোরালো শটে জালে পাঠান ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ড।
বিরতির পর আবারও চলে নেইমার ম্যাজিক। তবে এবার নিজে কোন গোল করেননি ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। দলের বাকি তিন গোলে রাখেন অবদান। ম্যাচের ৫৩ মিনিটে ডি-বক্সের বেশ বাইরে থেকে নেইমারের ফ্রি-কিক পোস্টে লেগলে ফিরতি বল জালে পাঠান ফরাসি ডিফেন্ডার কুরজাওয়া।
ম্যাচের ৭২ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোল করেন কুরজাওয়া। ডান দিকে স্বদেশি দানি আলভেসকে উঁচু করে বল বাড়িয়েছিলেন নেইমার। ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারের ক্রস থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে ডাইভিং হেডে জালে পাঠান কুরজাওয়া। ছয় মিনিট পর নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন কুরজাওয়া। ডি মারিয়ার পা হয়ে বল পেয়ে ডি-বক্সের বাঁ-দিক থেকে ঠাণ্ডা মাথায় নিচু শটে জালে পাঠান এই ডিফেন্ডার।
বাকি সময় আর কোন গোল না হলে জয়ের আনন্দ নিয়ে মাঠ ছাড়ে নেইমার- ডি মারিয়ারা। এ জয়ে ৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সবার আগে নক আউট পর্ব নিশ্চিত করলো পিএসজি।
এদিকে একই গ্রুপে দিনের অপর ম্যাচে সেল্টিককে ২-১ গোলে হারিয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে নকআউট পর্ব প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে বায়ার্ন মিউনিখও।
এমআর/আইআই