কাতালোনিয়ার স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দিল বার্সাও
কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার প্রশ্নে হয়ে গেলো গণভোট। রোববার অনুষ্ঠিত সেই গণভোটে জয় হয়েছে কাতালোনিয়ারই। স্পেনের সবচেয়ে বৃহৎ এই রাজ্যটির অধিবাসীরা চায় স্বাধীনতা। স্পেন কর্তৃপক্ষের নির্যাতন, দমন-পীড়ন থেকে মুক্তির অপেক্ষায় এখন পুরো কাতালোনিয়া। রাজ্যটি যদি স্পেন থেকে স্বাধীন হয়েই যায়, তাহলে মেসিদের ক্লাবের কী হবে? এটা এখন একটা অনেক বড় প্রশ্ন।
কী হবে না হবে সেটা পরের ব্যাপার। তবে, বার্সেলোনা বহু আগে থেকেই স্বাধীনতার পক্ষে। এমনকি তারা প্রকাশ্য বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তারা কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে। রোববারও যখন কাতালোনিয়াজুড়ে গণভোট চলছিল এবং একে কেন্দ্র করে যখন রাজ্যটির রাজধানী শহর বার্সেলোনায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে, তখন এফসি বার্সেলোনা ক্লাব লা লিগা কর্তৃপক্ষের কাছে লাস পালমাসের বিপক্ষে তাদের ম্যাচটি স্থগিত করার আবেদন জানায়।
কিন্তু লা লিগা কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্তে অনড়। ম্যাচ হতেই হবে। শেষ পর্যন্ত বার্সা বাধ্য হয়েই ক্লোজ ডোর স্টেডিয়ামে ম্যাচের আয়োজন করে। একজন দর্শককেও প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি মাঠে। লা লিগার ইতিহাসে যা নজিরবিহীন ঘটনা।
তবে, এই ম্যাচটিতেও জড়িয়ে ছিল রাজনীতি। কারণ লাস পালমাস এই ম্যাচে খেলতে আসে তাদের জার্সিতে স্পেনের পতাকা অঙ্কন করে। এমব্রয়ডারি করে সেই পতাকা লাগানো হয় জার্সিতে। অখন্ড স্পেনের দাবিতে লাস পালমাসের এই অবস্থান। অপরদিকে খালি মাঠে, ম্যাচ শুরুর আগে কাতালুনিয়ার জাতীয় পতাকার আদলে তৈরি জার্সি পরে ছবি তোলার পোজ দেন বার্সা ফুটবলাররা। যা কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে তাদের অবস্থানকেই তুলে ধরলো।
তুমুল বিতর্কের মধ্য দিয়ে ম্যাচটি শেষ হলো। এরই মধ্যে গণভোটের রেজাল্টও প্রকাশিত হয়ে গেলো। জিতে গেলো কাতালোনিয়া। তবে, স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে স্বাধীনতার দাবিতে আজ পুরো রাজ্যজুড়ে চলছে ধর্মঘট। সেই ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়েছেন বার্সেলোনাও। তারা অনুশীলনই বন্ধ রেখেছে আজ। মেসি-সুয়ারেজদেরকে মাঠমুখোই হতে দেখা যায়নি। শুধু তাই নয়, আজ পুরো দিনই বার্সেলোনা এফসি অফিস কিংবা ন্যু ক্যাম্প পুরোপুরি বন্ধ থাকতে দেখা গেছে।
যদিও বার্সা কোচ আর্নেস্তো ভালবার্দে কৌশলগত কারণে বলেছেন, অধিকাংশ খেলোয়াড়ই চলে গিয়েছে তাদের জাতীয় দলের সূচিতে অংশ নেয়ার জন্য। বাকি ৫জন ছিলেন। যারা ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন করেছে।
আইএইচএস/এমএস