মেসির জোড়া গোল, উড়ছেই বার্সেলোনা
জোড়া গোল করলেন মেসি। চিরাচরিত নিয়মে সতীর্থদের সঙ্গে উল্লাসে মেতে উঠলেন। কিন্তু এই মেতে উঠাটা কেমন যেন নিরস। বিরানভুমিতে কয়েকজনের চিৎকার যেন স্টেডিয়ামের এপাশ থেকে ওপাশ ঘুরে বেড়াল। কেউ শুনতে পেলো না। মেসিদের গোলও স্বচক্ষে দেখলো না কেউ। কারণ, ন্যু ক্যাম্পের গ্যালারি যে তখন পুরোপুরি ফাঁকা।
স্বাধীনতার দাবিতে গণভোট চলছে কাতালুনিয়ায়। রাজ্যটির বৃহত্তম শহর বার্সেলোনায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষও ছড়িয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে খেলতেই রাজি ছিল না বার্সেলোনা এফসি। কিন্তু লা লিগা কর্তৃপক্ষ নাছোড়বান্দা। তাদের দাবি খেলা হতেই হবে। অগত্যা গ্যালাপুরি পুরোপুরি ফাঁকা রেখেই বদ্ধ স্টেডিয়ামে লাস পালমাসের বিপক্ষে খেললো বার্সা। একজন দর্শককেও স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
খালি গ্যালারি। ফাঁক স্টেডিয়ামেও ঝড় তুললেন লিওনেল মেসি। সফরকারীদের জালে দু’বার বল জড়ালেন। আরও একটি দিলেন সার্জিও বুস্কেটস। তাতেই লাস পালমাসকে ৩-০ গোলে হারিয়ে জয়ের ধারা বজায় রাখলো কাতালানরা। ৭ ম্যাচ শেষে পয়েন্ট ২১। রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট মাত্র ১১। অথ্যাৎ চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে ১০ পয়েন্ট এগিয়ে বার্সা।
প্রথমার্ধে কোনো গোলই হলো না। মেসিদের অনেকগুলো চেষ্টা রুখে দেয় লাস পালমাসের রক্ষণভাগ। তবে খেলার দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই, ৪৯তম মিনিটে গোলের সূচনা করেন সার্জিও বুস্কেটস। লিওনেল মেসির ক্রস থেকে ভেসে আসা বলে খুব কাছ থেকে হেড করেন বুস্কেটস। সেটিই গিয়ে জমা পড়লো লাস পালমাসের জালে।
৭০ মিনিটে নিজের প্রথম এবং দলের দ্বিতীয় গোল করেন মেসি। ডেনিস সুয়ারেজের কাছ থেকে বল পেয়ে বাম পায়ে জাদুকরি শটে পরাস্ত করেন পালমাসের গোলরক্ষককে। ৭ মিনিট পর আবারও গোল। এবারও গোলদাতা মেসি। লুইস সুয়ারেজের কাছ থেকে বল পেয়ে আবারও বাম পায়ের শট। সেটিই গিয়ে জড়িয়ে যায় সফরকারীদের জালে।
আইএইচএস/জেএইচ