রত্নই বটে জুয়েল
প্রথম গোলটি নিজেই অনায়াসে করতে পারতেন। করেননি জুয়েল রানা। ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে-কুটিয়ে পোস্টের হাত তিনেক সামনে বল ঠেলে দিলেন ভ্যালেন্সিয়ার সামনে। ঠান্ডা মাথায় ব্রাদার্সের জালে বল ঠেলে দিলেন এ কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড। ৪৫ মিনিটে এগিয়ে গেলো সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। ইনজুরি সময়ের শেষ মিনিটে আবার জুয়েল-ভ্যালেন্সিয়া রসায়ন। দ্বিতীয়বার ব্রাদার্সের জাল কাঁপিয়ে ২-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় সাইফ এসসি।
৬৫ মিনিটে যে গোল মৌসুমের প্রথম হ্যাটট্রিকম্যানের কৃতিত্ব বসিয়ে দেয় কলম্বিয়ান ভ্যালেন্সিয়ার নামের পাশে। ওই গোলের উৎসও ছিল ২১ বছরের জুয়েল। তার আগে জুয়েলের পাস থেকেই দলের তৃতীয় গোল করেছিলেন হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস। নিজের নামের পাশে কোন গোল না বসলেও ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে সাইফের বড় জয়ে বড় অবদান আবাহনী ছেড়ে সাইফে নাম লেখানো এ যুবকের। গোল না করলেও ম্যাচের নায়কতো জুয়েলই। আরেক কলোম্বিয়ান আন্দ্রেসের গোলটি এসেছে জামাল ভুঁইয়ার পাস থেকে।
সপ্তম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ব্রাদার্সের হয়ে অভিষেক হয়েছিল জিনাইদহের ছেলে জুয়েলের। অভিষেকেই প্লেমেকার হিসেবে নিজেকে আলাদা করে চিনিয়ে পরের মৌসুমেই গায়ে জড়ান দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডানের। ক্লাব, যুব দল, জাতীয় দলে নৈপূণ্য দেখে পরের মৌসুমে জুয়েলকে নিয়ে নেয় আবাহনী।
আকাশি-হলুদদের পঞ্চম লিগ শিরোপা জয়ে অন্যতম এ কারিগরকে নিয়ে এবারতো দলবদলে ক্লাবটির সঙ্গেযুদ্ধই হয়ে যায় নবাগত সাইফের সঙ্গে। ব্রাদার্স, মোহামেডান ও আবাহনীর পর এবার সাইফের জার্সি গায়েও ধারাবাহিক নৈপুন্য দেখাচ্ছেন জুয়েল- পারফরম্যান্স দিয়েই প্রমান করছেন তাকে নিয়ে কেন টানাটানি হয় ক্লাবগুলোর।
জুয়েল রানা ও ভ্যালেন্সিয়ার চমৎকার বোঝাপড়াতেই এবারের লিগের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের (৫-০) জয়টি এখন সাইফের। এর আগের বড় জয়টি ছিল মোহামেডানের। তারা ৪-০ গোলে হারিয়েছিল ফরাশগঞ্জকে।
আরআই/আইএইচএস