পিএসজিকে বড় জয় এনে দিল নেইমার

ঘরের মাঠে অভিষেকেই নেইমারের যাদু দেখল পিএসজি সমর্থকরা। নিজে করলেন দুই গোল, সঙ্গে সতীর্থদের দিয়ে করালেন আরও দুই গোল। আর ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের দুর্দান্ত পারফরমেন্সে দে পাঁসে তুলুজকে ৬-২ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়ে প্যারিস সেন্ট জার্মেই।

ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই নিজের ঝলক দেখাতে থাকেন নেইমার। ম্যাচের ১৩ মিনিটে গোলেরও সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে ১২ গজ দূর থেকে নেওয়া তার জোরালো শট ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়। এদিকে খেলার ধারার বিপরীতে ১৮ মিনিটে এগিয়ে যায় তুলুজ। বাঁ-দিক থেকে নিচু ভলিতে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন মিডফিল্ডার মাক্স গ্রাদেল।

পিছিয়ে পড়ে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে স্বাগতিকরা। ম্যাচের ২৬ মিনিটে নেইমারের হেড পোস্ট ঘেঁষে গেলে হতাশা বাড়ে স্বাগরিকদের। পাঁচ মিনিট পর দলকে সমতায় ফেরান নেইমার। বাঁ দিক থেকে নেইমারের ব্যাকহিলে রাবিওর নেওয়া শট গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে ফেরান। তবে ছুটে এসে ফিরতি বল জালে পাঠান এই মৌসুমে পিএসজিতে যোগ দেওয়া নেইমার।

চার মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রাবিও। নেইমারের ছোট পাস ধরে অনেকখানি দূর থেকে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন ফরাসি এই মিডফিল্ডার। বিরতির পর বড় এক ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। ৬৯ মিনিটে তুলুজের অধিনায়ক ক্রিস্তোফার জুলিয়াঁকে পিছন থেকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন ডিফেন্ডার মার্কো ভেরাত্তি।

এদিকে দশজন নিয়েও আক্রমণের ধার কমায়নি পিএসজি। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে ব্যবধান ৩-১ করেন কাভানি। নেইমারকে ডি-বক্সে ফেলে দেওয়ায় পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। আর তা থেকে বল জালে জড়ান উরুগুরের এই তারকা। তিন মিনিট পর থিয়াগো সিলভা নিজেদের জালে বল জড়ালে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা জাগায় অতিথিরা। তবে দুই মিনিটের ব্যবধানে হাভিয়ের পাস্তোরে ও লেইভিন কুরজাওয়া আর দুইবার বল জালে জড়ালে বড় জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা।

এদিকে যোগ করা সময়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন নেইমার। ডি-বক্সে বল পেয়ে চার চারজন ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে বাঁ-পায়ের কোনাকুনি শটে বল জালে জড়িয়ে অভিষেকটা স্মরণীয় করে রাখেন ২৫ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়।

এমআর/পিআর