রোনালদোর আশা ছেড়ে দিয়েছেন মরিনহো
ছয়টি মৌসুম ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের হয়ে কাটিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সি গায়েই বিশ্ব সেরা ফুটবলারের তকমা পরে নেন। এরপর এখন মাঠ মাতিয়ে যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে। সম্প্রতি গুঞ্জন উঠেছিল রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে দেবেন সিআর সেভেন। রিয়াল ছাড়লে কোথায় যাবেন তিনি? এ প্রশ্ন ওঠার আগেই তার পেছনে ছুটতে শুরু করেছে পুরনো ম্যানইউসহ ইউরোপের অনেক নামি-দামি ক্লাব।
তবে, শেষ পর্যন্ত রিয়াল মাদ্রিদ তারকাকে দলে ভেড়ানো ‘মিশন ইমপসিবল’ বলে এই দৌড় থেকে স্বেচ্ছায় সরে আসলেন ম্যানইউ কোচ হোসে মরিনহো। অনেক চেষ্টা-তদবির করার পর তিনি বুঝলেন, রোনালদোকে কেনা এই মুহূর্তে কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
সত্যিই কী রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে দেবেন, না কি শুধুই গুজব? কর ফাঁকি মামলা সংক্রান্ত ঝামেলার জের ধরে রোনালদো নিজেই হুমকি দিয়েছিলেন বার্নাব্যু ছেড়ে দেয়ার। তবে সেটা শুধুই হুমকি তা ইতিমধ্যেই পরিস্কার হয়ে গেছে। রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে যাবেন না এটাও প্রায় নিশ্চিত।
তবে, কর ফাঁকি মামলার জের ধরে রোনালদোর মাদ্রিদ ছেড়ে যাওয়ার বিষয়ে ‘অভিমানি’ ঘোষণা দেয়ার পরই ম্যানইউতে তার ফেরার একটা গুঞ্জন উঠেছিল। হোসে মরিনহোও ভেতরে ভেতরে চেষ্টা করেছিলেন, ঘরের ছেলেকে ঘরে ফেরানো যায় কি না।
বিশেষ করে রিয়াল মাদ্রিদে মরিনহোর অধীনেই তিনটি মৌসুম খেলেছিলেন রোনালদো। এ কারণে পর্তুগিজ এই কোচ আশা করেছিলেন সিআর সেভেনকে তিনি আবারও ফিরিয়ে আনতে পারবেন নিজের শিবিরে। রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার আগে ম্যানইউর হয়ে তিনটি প্রিমিয়ার লিগ এবং একটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতেছিলেন সিআর সেভেন। এরপর ২০০৯ সালে ৮০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে ম্যানইউ থেকে তিনি পাড়ি জমান রিয়াল মাদ্রিদে।
রোনালদোর আশা ছেড়ে দেয়ার সঙ্গে মরিনহো বলেন, ‘আমরা আসলে তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে এখন কোন চিন্তাই করতে পারি না। কারণ, তিনি তার ক্লাবের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। শুধু তাই নয়, তাকে কিনতে হলে বিশাল অর্থের প্রয়োজন। যেটা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।’
এ কারণেই মরিনহো আর রোনালদোর পেছনে দৌড়ে সময় নষ্ট করতে চান না। তিনি বলেন, ‘রোনালদো তার ক্লাব ছেড়ে যাবেন- এমন কোনো চিন্তা করার কারণও আমরা খুঁজে পাই না। আর ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও শুধু শুধু অসম্ভব একটা কাজের পেছনে দৌড়ে সময় নষ্ট করতে চাই না।’
আইএইচএস/এমএস