বিজয়ের মুখে যত প্রশংসা ‘বোলার’ জিসান আর মেহরুবের
কেউ বড় ইনিংস খেলেননি। কারো ব্যাট থেকে একটি হাফসেঞ্চুরিও আসেনি। সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেছেন রায়ান বার্ল (২৯ বলে ৪৮*)। তারপরও ২০ ওভার শেষে দুর্বার রাজশাহীর স্কোর গিয়ে ঠেকে ১৭৮-এ।
এটা খুব বড় না হলেও মোটামুটি লড়াকু পুঁজি। শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সেই পুঁজিটাকে বড় পুঁজিই বানিয়ে ছেড়েছে রাজশাহী।
ভাবছেন যে দলে দেশের এক নম্বর পেসার তাসকিন আহমেদ আছেন, তিনিই বুঝি সামনে থেকে এ মিশনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আসলে তা নয়।
দুর্বার রাজশাহী জিতেছে দুই তরুণ স্পিনার জিসান আলম (৪ ওভারে ১/১৮) এবং এস এম মেহরুব হাসানের (৪ ওভারে ১/২৫) দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে। জিসান আর মেহরুব দুজনই অফস্পিনার। তাদের ৮ ওভারে ৪৩ রানের বেশি নিতে পারেননি সিলেট স্টাইকার্স ব্যাটাররা।
জেনে অবাক হতে পারেন, জিসান ও মেহরুবের কেউই জেনুইন অফস্পিনার নন। দুজনই অলরাউন্ডার। দুজনই ব্যাটার কাম অফস্পিনার।
অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় সেই মারকুটে ওপেনার জিসানকে দিয়ে আজ বোলিংয়ের সূচনা করেছেন। আর মেহরুব বোলিংয়ে এসেছেন ঠিক পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে।
জিসান প্রথমবার বিপিএল খেলছেন। আর মেহরুবের এটা দ্বিতীয় বিপিএল। এমন দুজন তরুণ মিলে নতুন বলে পুরো ৮ ওভার বোলিং করলেন। দুর্বার রাজশাহী অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় এই ২ তরুণ অফস্পিনারকে কেন এত আগে পাওয়ার প্লেতে বোলিংয়ে আনলেন কেন? অনেকের মনেই কৌতুহলী প্রশ্ন। খেলা শেষে রাজশাহী ক্যাপ্টেন বিজয়ই এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
বিজয়ের ব্যাখ্যা, ‘আজকে ওদের (খুলনা টাইগার্সের) বাঁহাতি ব্যাটার বেশি ছিল। আপনি যদি উপর থেকে ধরেন; নাহিদ, আফিফ, নেওয়াজ, ইমরুল কায়েস, নাসুম থেকে শুরু করে ছয়জন বাঁহাতি ব্যাটার ছিল। তাই আসলে দুজন তরুণ অফস্পিনারকে পুরো বোলিং কোটা পূর্ণ করানো। সবসময় আসলে এই জিনিসগুলো কাজ করবে না। আজ কাজ করেছে মানে এই না যে সব ম্যাচে ওকে আমি চার ওভার বল করাতে পারবো।’
বিজয় যোগ করেন, ‘পরিস্থিতি যদি অন্য দলের থাকে যে ওদের ডানহাতি ব্যাটার বেশি, হয়তোবা আমি বাঁহাতি স্পিনার বেশি চিন্তা করবো। আজকে ওদের দরকার ছিল, ওরা সেরাটা দিয়ে ভালো একটা জয় উপহার দিয়েছে।’
জিসান ও মেহরুবের বোলিংয়ের প্রশংসা করে বিজয় বোঝানোর চেষ্টা করেন, ১৭৮ রানের পুঁজিটা খুব বড় ছিল না। তারপরও বোলাররা বিশেষ করে দুই অফস্পিনার জিসান আর মেহরুব দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে দল জেতানোয় বড় ভূমিকা রেখেছেন।
বিজয়ের বলেন, ‘বোলিংয়ে নামার সময় আমাদের মধ্যে আসলে এই কথাটাই হয়েছে। যদি প্রমাণ করার কিছু থাকে এই দল নিয়ে, আজকে একটা সুযোগ যে, এই টোটালেও আমরা আটকাতে পারি। অবশ্যই ধন্যবাদ দিতে হয় অহিন (মেহরুব), জিসানকে। ওরা তো অনেক ছোট বলতে গেলে; মাত্র দ্বিতীয় বিপিএল খেলছে অহিন। জিসানও মাত্র তিন চার নম্বর ম্যাচ। এত আর্লি এত সুন্দর বল করছে; আসলে আমি খুব খুশি এবং সবাই খুব খুশি। অবশ্যই তাসকিনসহ যারা আছে, তারা তো ভালো বল করেছে। কিন্তু ওদের বোলিংটা সবচেয়ে বড় এডভান্টেজ ছিল।’
এআরবি/এমএমআর/এএসএম