যৌথভাবে বিপিএলের দ্বিতীয় বড় জয় চিটাগংয়ের, ফের হার রাজশাহীর
দুর্বার রাজশাহীকে ১০৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে চলতি বিপিএলের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে চিটাগং কিংস। রানের হিসেবে বিপিএলের ইতিহাসে যৌথভাবে এটি দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় জয়। অন্যদিকে এক ম্যাচ জয়ের পর ফের হারের কবলে পড়েছে রাজশাহী।
রানের হিসেবে বিপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়টি ১১৯ রানের। ২০১৩ সালে শেরে বাংলায় সিলেট রয়্যালসকে এই ব্যবধানে হারিয়েছিল এই চিটাগংয়ই। এরপর ২০১৯ সালে রংপুর রাইডার্সকে ১০৫ রানে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স, একই আসরে খুলনা টাইটানসকে সমান ব্যবধানে হারিয়েছিল ঢাকা ডাইনামাইটস।
১০৫ রানের জয় বিপিএলের ইতিহাসে রানের হিসেবে দ্বিতীয় সবচেয়ে জয়। অর্থাৎ যৌথভাবে তৃতীয় দল হিসেবে ১০৫ রানের ব্যবধানে জিতলো চিটাগং।
শুক্রবার টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে উসমান খানের সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ২১৯ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করায় কিংস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৭.১ ওভারে ১১৪ রানে গুটিয়ে যায় রাজশাহী।
কিংসের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ২ বলে শূন্য রানে আউট হলে তিনে নামা গ্রাহাম ক্লার্ককে নিয়ে দুর্দান্ত জুটি করেন উসমান। ১২০ রানের জুটি করার পথে দুজনেই খেলেন মারকুটে ভঙ্গিতে। ক্লার্ক উইকেটে থাকতেই হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন উসমান। এরপর ২৫ বলে ৪০ রান করে আউট হন ক্লার্ক। তবে উইলোবাজি করেই যান উসমান।
তৃতীয় উইকেটে কিংস অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুনকে নিয়ে আবারও জুটি করেন উসমান। অবশেষে হাঁকিয়ে ফেলেন সেঞ্চুরিও। ইনিংসের ১৪তম ওভারে তিন অংকের স্পর্শ করেন তিনি। ১১ চারের সঙ্গে ৫ ছক্কা মেরে দর্শকদের উচ্ছ্বসিত করেন চলতি বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরির ইনিংস উপহার দিয়ে। বিপিএল ক্যারিয়ারে উসমান খানের দ্বিতীয় সেঞ্চরি এটি।
১৫ বলে ২৮ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলে আউট হন মিথুন। দলীয় স্কোর ২০০ পার করে সাজঘরে ফেরত যান উসমান। তাসকিন আহমেদের বলে হাসান মুরাদের হাতে ক্যাচ হওয়ার আগে করেন ৬২ বলে ১২৩ রান (১৩ চার ৬ ছক্কা)। অবশেষে রাজশাহীর বিপক্ষে ২১৯ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করায় কিংস।
জবাব দিতে নেমে রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ১৫ বলে ৩২ রান করেন ওপেনার মোহাম্মদ হারিস। উইকেটরক্ষক ব্যাটার আকবর আলী ১২ বলে ১৮, ইয়াসির আলী রাব্বি ১৫ বলে ১৬, সোহাগ গাজী ১৯ বলে ১১ ও রায়ান বার্ল ৯ বলে ১০ রান করেন।
কিংসের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন আরাফাক সানি ও আল ইসলাম। ২টি করে উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ ওয়াসিম ও শরিফুল ইসলাম।
এমএইচ/জিকেএস