এনসিএল টি-২০
বোলিংয়ে পেসারদের দাপট
১০ ম্যাচের ৯ ইনিংস ব্যাট করেন রান ১২৩। আর নামের পাশে উইকেট ১৩টি। অলরাউন্ড পারফরমেন্স হিসেবে মন্দ নয়। ভালই করেছেন আবু হায়দার রনি। এমন অলরাউন্ড পারফরমেন্সে টুর্নামেন্ট সেরা পারফরমারের একলাখ টাকার পুরষ্কার উঠেছে ঢাকা মেট্রোর এ বাঁ-হাতি পেসার কাম লেট অর্ডার আবু হায়দার রনির হাতে।
পারফরমেন্স নজর কাড়া হলেও রনির দল ঢাকা মেট্রো কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হয়নি। দল চ্যাম্পিয়ন হলে নির্ঘাত টুর্নামেন্ট সেরা পারফরমার হতেন ঢাকা মেট্রো অধিনায়ক, ওপেনার নাইম শেখ। কারন ১০ ম্যাচে সর্বাধিক তিন ফিফটি (৬৫, ৬৯ ও ৫৭) হাঁকিয়ে ১০ খেলায় ৩১৬ রান করে এবারের জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টির টপ স্কোরার হয়েছেন ঢাকা মেট্রোর অধিনায়ক ও ওপেনার নাঈম শেখ।
কিন্তু দল শিরোপা জিতলেও ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট হতে পারেননি সর্বাধিক উইকেট শিকারী আলাউদ্দীন বাবু। চ্যাম্পিয়ন রংপুরের আলাউদ্দীন বাবুর নামের পাশে যোগ হয়েছে ১০ ম্যাচে ১৯ উইকেট।
আলাউদ্দীন বাবুর পরপরই উইকেট শিকারে আছেন একঝাঁক তরুণ পেসার। তাদের মধ্যে একাধিক প্রতিশ্রুতিশীল দ্রুত গতির বোলার থাকলেও শীর্ষ দশে নেই কোন নতুন ও তরুণ স্পিনার।
ঢাকা মেট্রোর দুই স্পিনার বাঁ-হাতি রাকিবুল আর রহস্যময় বোলিং অ্যাকশনের অ্যালিস ইসলাম ছাড়া সদ্য শেষ হওয়া ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি লিগের শীর্ষ ১০ উইকেট শিকারীর সবাই পেসার। উইকেট শিকারী দ্বিতীয় হলেন চট্টগ্রামের ডানহাতি আহমেদ শরিফ (৮ খেলায় ১৭ উইকেট)।
তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানটি ঢাকার ২ স্পিনার রাকিবুল হাসান ও অ্যালিস ইসলাম (দু’জনই ১০ খেলায় ১৫ উইকেট করে পেয়েছেন) এরপরের স্থানটিও ঢাকা মেট্রোর আরেক বোলার আবু হায়দার রনির। এ বাঁ-হাতি স্পিনারের উইকেট ১৩টি।
ফাইনালে ম্যাচ সেরা পারফরমার মুকিদুল ইসলাম (৮ খেলায় ১২ উইকেট) উইকেট প্রাপ্তিতে আছেন ৬ নম্বরে। উইকেট শিকারে সপ্তম স্থান পেয়েছেন চট্টগ্রামের তরুণ বাঁ-হাতি পেসার ফাহাদ হোসেন (৬ খেলায় ১১ উইকেট)। শুধু উইকেট সংগ্রহে ওপরের দিকে জায়গা করে নেয়াই নয়, বোলার হিসেবেও নিজেকে মেলে ধরেছন এ তরুণ বাঁ-হাতি বোলার।
বেশ দ্রুত গতিতে সুইং করাতে পারেন ফাহাদ। বাঁ-হাতি হিসেবে ডানহাতি ব্যাটারদের কৌনিক ডেলিভারি ছোঁড়ার পাশাপাশি বল ভেতরে আনার সামর্থ্যও আছে এ তরুণের। ইনজুরি, অপারেশন আর রিহ্যাব শেষে দীর্ঘদিন পর মাঠে নেমেও বল হাতে ভাল করেছেন এবাদত হোসেন। এ পেসার পেয়েছেন ৫ ম্যাচে ১০ উইকেট।
৯ নম্বর স্থানটি অভিজ্ঞ পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বির। বরিশালের এ মিডিয়াম পেসাররের উইকেট সংখ্যা ১০ (৬ খেলায়)। এছাড়া
ঢাকা মেট্রোর পেসার শহিদুল ইসলামও ৮ ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার করে উইকেট শিকারে ১০ নম্বর। চৌধুরী রেজওয়ান ৪ খেলায় ৮ উইকেট।
এদিকে ঢাকা মেট্রোর আবু হায়দার রনি ১০ খেলায় ১২৩ রানের পাশাপাশি ১৩ উইকেট শিকার করে আসরসেরা পারফরমারের পুরষ্কার পেলেও অলরাউন্ডার হিসেবে নজর কেড়েছেন রংপুরের তরুণ অলরাউন্ডার চৌধুরী মোহাম্মদ রেজওয়ান।
টপ অর্ডার হিসেবে খেলে ৮ ম্যাচে ১৪৯ রান করেছেন এ তরুণ। সব ম্যাচে নিয়মিত বোলিং পাননি। ৪ ম্যাচে তার হাতে বল তুলে দিয়েছেন অধিনায়ক আকবর আলী। তার ২ ম্যাচেই ৭ উইকেট (ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ৪/২১ ও রাজশাহীর বিপক্ষে ৩/৪১) দখল করে প্রতিশ্রুতির ছাপ রাখেন রেজওয়ান। আজ ফাইনালেও ৩ ওভারে ১২ রানে এক উইকেট দখল করেন রেজওয়ান।
এআরবি/আইএইচএস